দেশ বিদেশ
এফবিএস’র বাজেট বিশ্লেষণ
ঘাটতি মেটাতে সরকার টাকা ছাপানোয় নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৯ জুন ২০২৩, শুক্রবারপ্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে সরকার টাকা ছাপানোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে বলে মনে করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস)। সংস্থাটি বলছে, প্রথাগত আয়ের উৎসগুলো ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ সরকার কিছু আয় সংক্রান্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এবারের বাজেট ঘাটতির বড় উৎস সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থ সংকুলানের বদলে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরকে অর্থ ফেরত দিতে হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকটের কারণে ক্রাউডিং আউট ব্যতীত ব্যাংক ঋণ গ্রহণেরও সুযোগ নেই। ফলে সরকার ঘাটতি মেটাতে ক্রমেই ডেভেলপমেন্টের নামে টাকা ছাপানোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত ছাপানো অর্থের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত পরিমাণ ১ লাখ কোটি অতিক্রম করতে পারে। সংস্থাটি বলছে, মেগা প্রজেক্ট নয়, মাথা-ভারি প্রশাসনকে পোষা বাংলাদেশের মানুষের উপরে সবচেয়ে বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। এই প্রশাসনের খরচ মেটাতেই টাকা ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ এর বাজেট ও সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস)। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- উন্নয়ন ও অর্থনীতি গবেষক এবং জার্মান ফেডারেল শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গবেষক জিয়া হাসান।
আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা ও বাজেটে কথিত লক্ষ্য সাংঘর্ষিক বলে মনে করে সংস্থাটি। ঘাটতি মেটাতে ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন মূল্যস্ফীতি তৈরি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ছাপিয়ে অর্থায়নের পরিণতিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে। টাকার মানের আরও পতন ঘটে আমদানি কেন্দ্রিক মূল্যস্ফীতি ঘটবে। ডলার রেশনিং এর কারণে সরকারি পণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার পাবে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি কমে আসবে ও সরবরাহজনিত মূল্যস্ফীতি ঘটবে।