রাজনীতি
বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার: আমু
অনলাইন ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫১ অপরাহ্ন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দুয়ার খোলা বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনা হতে পারে।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। আমু বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।
একই সমাবেশে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মার্কিন ভিসানীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।
পাঠকের মতামত
আঃলীগের প্রস্তাব ইতিবাচক, আলোচনা দেশের সার্থে করা উচিত। তবে আমি মনে করি আঃলীগ কে বৈঠকের আগে ঘোষণা করতে হবে নির্বাচন কালিন সরকারে আঃলীগ সভানেত্রী থাকতে পারবে না। কারণ ১৮ সালের নির্বাচনে পর আঃলীগ সভানেত্রী বাংলার জনগণের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়েছেন।তাকে রেখে কখনো সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।
আমু,দিলীপ বড়ুয়া,ইনু,মেনন বড় নেতা চারজনকে একদিকে দেন বিএনপি'র কম জনপ্রিয় নেতাকে দাড় করিয়ে দিন চারজনের চেয়ে বেশি ভোট পাবে।
জনাব কামরুল সাহেব আমি বলেছি গত নির্বাচনের বাস্তবতা নিয়ে, আঃলীগ সভানেত্রীর উপর বিশ্বাস করে গত নির্বাচন হয়েছে,তার ফলাফল ও মানুষ দেখেছে। তাদের কথার বিশ্বাস টুকু কোথায় ? আজ কাদের সাহেব বললেন এমন কোন পরিবেশ তৈরি হয়নি যে অন্য কারো মধ্যস্থতা লাগবে !!!
তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু বিএনপি নয় বাংলাদেশের চাওয়া। পিরিক্ষার হলে ছাত্র পাহারা দেয়না পরীক্ষক দেন। ছাত্র ছাত্রকে পাহারা দিলে সবাই নকল করার চেষ্টা করবে। গত ইলেকশন তার দারুন একটি প্রমান।
এই আহ্বান কিভাবে সফল হবে? যেখানে তিনি বলেছেন সংবিধানের মধ্যে থেকে আলোচনা, যে সংবিধানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি সেখানে সংবিধানের মধ্যে থেকে আলোচনা হতে পারেনা, সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করার পর আলোচনা হতে পারে। ২ । তিনি বলেছেন গনতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে, কিসের গনতন্ত্রের কথা বলেন যাকে আপনারা ২০১৪ সালে গলা টিপে হত্যা করেছে? যে গনতন্ত্রকে ২০১৮ সালে রাতের ভোটের মাধ্যমে কবরে পাঠিয়েছেন সেই ধারা বজায় রাখলে আলোচনার কি দরকার? ৩। বলেছেন আলোচনা করবেন, কিসের আলোচনা করবেন? আমরা সাধারণ জনগণ দেখেছি ২০১৪ সালে বলেছিলেন এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন, খুব তারাতারি আরেকটা নির্বাচন দেবেন, আপনারা কথা রেখেছেন? রাখেন নি। ২০১৮ সালে আলোচনায় ডাকলেন তারাও গেলো, শেখ হাসিনা বললেন আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার উপর বিশ্বাস রাখুন সুষ্ঠু নির্বাচন দেবো, নির্বাচন ঠিকই করলেন কিন্তু তা আগের রাতে। এর পরেও আপনারা আলোচনা করতে ডাকেন কিভাবে!! আপনাদের কে আমরা জনগণ আর বিশ্বাস করিনা।
দেশ একটি খারাপ সময় পার করছে, আমি মনে করি প্রতিহিংসা দূর করে সবার আলোচনার মাধ্যমে একটি অবাদ, সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আর তা অবশ্যই শেখ হাসিনার অধিনে হওয়া যাবেনা।
কে না চায় আমেরিকা যেতে? আর কিছু বলার নাই।
আগে পদত্যাগ তার পর আলোচনা,,,,
ফান্দে পড়লেই বগা কান্দে----- আওয়ামীলীগ যে ফান্দে পড়ছে আমুর বিএনপির সাথে আলোচনায় বসার আকুতি থেকেই তা বুঝা যাচ্ছে। কোন আকুতি আর কান্নাকাটিতে কাজ হবেনা নির্বাচনের ৩মাস আগে শেখহাসিনাকে তার দলবল সহ ক্ষমতা ছাড়তে হবে তারপর নির্বাচন কালীন তত্বাবধায়ক সরকার গঠন আর পরিচালনার জন্য যত আলাপ আলোচনা সংলাপ আছে করা যাবে কিন্ত আওয়ামীলীগের পদত্যাগের আগে নয়।
আমুর কথার কি কোন মূল্য আছে? শেখ হাসিনা আমু-তোফায়েলদের কোন গুরুত্ব দেয় কি? তদুপরি আওয়ামীদের বিশ্বাসযোগ্যতা শূণ্য। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা বলেছিল নির্বাচন নিয়ম রক্ষার জন্য, অচিরেই আরেকটি ভালো নির্বাচন করা হবে। কিন্তু তিনি কথা রাখেন নাই, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করে আবার নিশিরাতের নির্বাচন জালিয়াতি করেছেন এবং আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় দখলদারিত্ব বজায় রেখেছেন।
ঠেলার নাম বাবাজি ! অহমিকার বেলুন ঠুস করে ফেটে গেল মনে হয়
আগে বাংলার জনগণের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করেন তারপর ভোটের চিন্তা করেন তা না হলে জনগণ এমনই আপনাদের বিষয়ে চিন্তা করবে!!!
হাসিনা আপাকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। আমরাও করি না। হাসিনা আপাকে দেখলে বুঝা যায়, মানুষ লোভে পড়ে কি না করতে পারে!
বিশ্বাঘাতকদের ফাঁদে পা দেয়ার অর্থ হবে নিজের জন্য কবর রচনা করা।
অবিশ্বাস্য
একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে. Come on bro, accept the neutral government and then discuss the character of the government.
এখানে আলোচনার কী আছে?? বিএনপিকে ক'টা আসন দেয়া হবে সেটা??? বিএনপির কিছুতেই এই সরকারের পদত্যাগের আগে আলোচনায় বসাটা উচিৎ হবে না। আলোচনা তো আগেও হয়েছে। ১৪ সালে সৈয়দ আশরাফ সাহেব কি আলোচনায় বসেননি?? রেজাল্ট কী হয়েছিলো? অশ্বডিম্ব।
হাসিনাকে সরে যেতে বলুন..অর্থাৎ পদত্যাগ করতে বলুন..আপনারাতো একটা বললে আরেকটা বুঝেন..বলছি "সরে" যেতে..আপনারা বলবেন বলছি "মরে" যেতে..হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে সংলাপ নয়..হাসিনা পদত্যাগ করলেই সংলাপ হবে....
প্রতিটি মানুষ রাজনৈতিক প্রাণী, প্রতিটা মানুষের কোন না কোন রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি অনুরাগ থাকে, কেউ চাইলে কোন আদর্শ মুছে দিতে পারে না,অতএব কে এগিয়ে এসে সকলের মতামত নিয়ে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করা। যাতে প্রতিপাঁচ বছর পর পর একটি নিরপক্ষো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। জনগন উত্সব মুখর পরিবেশে নিজেদের মতা মত দিতে পারে। যাতে একটি ভারসাম্য সমাজ তথা দেশ গড়ে ওঠে।
হাসিনা চেয়ারে থাকার পর রুহুল কবির রিজভী যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হোন তাহলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করিনা।
No election under Awami Government. This is not negotiable. PM Hasina has lost all her credibility and trustworthiness. আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। এই আলোচনা সাপেক্ষে নয়. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন।
আলোচনা হতে পারে কিভাবে কেয়ারটেকার সরকার গঠন হবে শুধুমাত্র এটা নিয়ে।
আব্দুল ওয়াদুদ মুন্সী সাহেব মুন্সীয়ানার মতো কথায় বলেছেন । বিচার মানি তালগাছটা তাঁর, তা হলে আলোচনার দরকার নেই, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আপনাদের চাইই চাই, আমেরিকাকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় বসে যান!
দূর্দিনের সারথীরা লাগাম টানতে চাইছেন কিন্তু আওয়ামীলীগের কথাসৈনিকগণ তো তাদের কথাস্ত্রে পানি ঘোলা করে ফেলেছেন। এই ঘোলা পানিতে বিদেশীরা এখন আপনাদেরই শিকার করতে চাইছে। অতএব, সাধু সাবধান ! আগে দলের কথা সৈনিকদের জিহ্বাস্ত্রকে সংযত করান।
আঃলীগের প্রস্তাব ইতিবাচক, আলোচনা দেশের সার্থে করা উচিত। তবে আমি মনে করি আঃলীগ কে বৈঠকের আগে ঘোষণা করতে হবে নির্বাচন কালিন সরকারে আঃলীগ সভানেত্রী থাকতে পারবে না। কারণ ১৮ সালের নির্বাচনে পর আঃলীগ সভানেত্রী বাংলার জনগণের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়েছেন।তাকে রেখে কখনো সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।
এটার পিছনে নিশ্চয়ই জামায়াত বিএনপির হাত আছে!
Time is up
গতকালই না অত বড় বজ কথা বললেন , আপনাদের নেত্রীও না বিএনপি কে কোনো দলই মনে করেন না , তাহলে আবার কথা বলার বসতে চান কেন?
বিএনপি আলোচনায় বসবে কেন? তাদের দাবি অর্থাৎ জনগণের দাবি মেনে তারপর পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করুন।