তথ্য প্রযুক্তি
পুচির মা: রম্যে, গল্পে ফুটে উঠা বাস্তবতার চিত্রায়ন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৫ জুন ২০২৩, সোমবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

মানুষের মন কখনো কখনো খুবই জটিল আবার কখনো কখনো খুবই সহজ উপায়ে কাজ করে। আমরা, বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে বাস করা মানুষেরা, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় হরেক রকম কন্টেন্ট দেখতে থাকি। কিন্তু, আমরা যখনই কোনো কন্টেন্ট কিংবা সিচুয়েশনের সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার মিল খুঁজে পাই, তখনই মনের অজান্তে আমাদের মধ্যে একটা আকর্ষণ অনুভব করি এবং ঐ কন্টেন্ট আমাদের মনে দাগ কেটে যায়। বর্তমান ইন্টারনেট সেনসেশনের যুগে অনেকের কাছে ঠিক তেমনই একটি আকর্ষণের নাম "পুচির মা"।
বাস্তব জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন গল্প, ঘটনা, কিংবা দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া সাধারণ কিছু ঘটনাকে অসাধারণভাবে, হাস্যরসের মাধ্যমে চিত্রায়িত করা ব্লগ পেইজের নাম "পুচির মা"। বর্তমানে এক মিলিয়নেরও অধিক ফলোয়ার নিয়ে "পুচির মা" পেইজটি দারুণভাবে সবার কাছে সমাদরে গৃহীত। এর আগে, বিড়াল কেন্দ্রিক পেইজ "পুচি ফ্যামিলি" এবং খাবারের রিভিউ নিয়ে পেইজ "গলু'স রিভিউ" থেকেও তিনি অনেক প্রশংসা কুরিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় দৈনন্দিন জীবনকে হাস্যরসত্মকভাবে ফুটিয়ে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয় "পুচির মা" - র যাত্রা।
এই জনপ্রিয় ব্লগ পেইজের প্রতিষ্ঠাতা ও কারিগর হলেন তাপসী দাস। তিনি তার সার্বজনীন কন্টেন্ট দিয়ে ইতিমধ্যে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। তার করা কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে বেশ কিছু চরিত্র ও ঘটনাকে প্রায়ই প্রাধান্য পেতে দেখা যায়। যেমন: পাশের বাসার ভাবির যায় যায় করেও ঘন্টাখানেক গল্প করা, ননদ ভাবির খুনসুটি, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক, স্ত্রীদের মান অভিমান, অভিযোগ-অনুযোগ ইত্যাদি। তার তৈরী সব কন্টেন্ট গুলোই এমন, যেন যেকোনো বয়সের কিংবা পেশার মানুষই নিজেকে কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত করে ফেলতে পারে। তার এত জনপ্রিয়তার পিছনে আরও একটি মূল কারণ হলো তার বাচনভঙ্গী। ব্লগ তৈরিতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হাস্যরসিক আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার তিনিই প্রথম শুরু করেন। এবং তার অতি দ্রুত কথা বলার স্টাইলটাও এতটাই জনপ্রিয় যে, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার কথা বলার ভঙ্গি অনুসরণ করতে চেষ্টা করেন।
"পুচির মা" পেইজটির মাধ্যমে তাপসী দাস আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অতি সাধারন ঘটনাগুলোকে আকর্ষণীয় ও হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে মানুষকে হাসাতে এবং আনন্দ দিতে ভালোবাসেন। বর্তমানে অনেকের কাছেই তিনি একজন অনুপ্রেরণার নাম। বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে হাস্যকর ভাবে তুলে ধরাই তার কাজের মূল উদ্দেশ্য। তার কাজ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এবং সকলের মুখে অনাবিল আনন্দ, অফুরন্ত হাসি ছড়িয়ে দিতে তিনি কাজ করে চলেছেন অবিরত।