বিশ্বজমিন
আফগানিস্তানে তালেবান প্রধানের সঙ্গে কাতারি প্রধানমন্ত্রীর গোপন বৈঠক
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ১:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

তালেবানের সুপ্রিম লিডার হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করেন এই দুই নেতা। বৈঠকে নিজেদেরকে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তালেবান প্রধান। এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ গোপন বৈঠকের খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে জানানো হয়, কাতারি প্রধানমন্ত্রী নিজেই আফগানিস্তান যান ওই আলোচনার জন্য। তবে পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয়। গত ১২ই মে আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তালেবান প্রধান কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে শোনা যায় না। ওই সফরের বিষয়টি জানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সেখানে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। তালেবানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র জানায়, নারী শিক্ষার ওপর তালেবান যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে তা উঠিয়ে নিতে হবে বলে শর্ত দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার তালেবানকে নারীর ওপর থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে। জাতিসংঘের এজেন্সি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোতেও নারীদের কাজ করতে দিতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে ওয়াশিংটন। এছাড়া আফগান সরকারে তালেবান সদস্যরা ছাড়াও অন্যদের স্থান দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। তালেবান প্রথম দিকে এসব শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তবে এখন তারা কাতারের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদিও এই আলোচনাকে শুধুমাত্র একটি সূচনা হিসেবে দেখছে। তালেবান এখনও তাদের শর্ত মেনে নেয়নি। ওয়াশিংটন আশা করছে, প্রাথমিক এই আলোচনা এখন আরও বহুদূর আগাবে এবং এক পর্যায়ে তালেবান আপোষ করতে বাধ্য হবে। সেটি হলে আফগানিস্তানে থাকা লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য বদলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে আফগানিস্তানে। মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বেকার হয়ে আছে। ৯০ শতাংশ আফগানই এখন দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে।
ওই আলোচনার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং কাতারের ওয়াশিংটন দূতাবাসও এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছে রয়টার্স।
পাঠকের মতামত
মার্কিন অথবা কাতারের প্রশাসন বা অন্য কোনও সরকারকে যদি বলা হয় যে,তাদের প্রশাসনে তাদের পছন্দের বাইরের লোকদেরকে ইনক্লুড করতে হবে, তাহলে তারা কি তা করবে? তালেবানরা ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে দেশ চালানোর জন্যই এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সংগ্রাম করে মার্কিনীদের কাছ থেকে তাদের দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে কি বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদীদের দর্শন অনুযায়ী দেশ চালাতে? প্রশাসন সাজাতে? মারাত্মক সেলুকাস!