প্রথম পাতা
যে কারণে সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে পারছেন না
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মে ২০২৩, রবিবার
আট বছর ধরে ভারতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। অনুপ্রবেশের মামলায় এরইমধ্যে তাকে খালাস দিয়েছে ভারতের শিলংয়ের আদালত। বলেছে, বাংলাদেশে ফিরতে বাধা নেই তার। তবুও দেশে ফিরতে পারছেন না বিএনপি’র আলোচিত এই নেতা। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ভারত থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, গত ৮ই মে গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার বরাবর ট্র্যাভেল পাস বা ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত সাড়া পাইনি।
২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সে সময় তার দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গুম করেছে। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ই মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়।
পরে কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে যায়। গত মার্চ মাসে এ মামলায় আপিলের রায় ঘোষণা করে আদালত। চূড়ান্ত রায়েও তাকে খালাস দেয়া হয়। আদালত তাকে দ্রুত দেশে পাঠানোরও আদেশ দেয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিন বারের সাবেক এই এমপি বিএনপি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর আগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পাঠকের মতামত
সালাহউদ্দিন এর উদাহরণ থেকে দেশে ঘটে যাওয়া অসংখ্য গুমের বিষয়ে অনেক কিছুই বোঝ যায়।
ক্ষমতাশিনদের ইশারায় সালাউদ্দিন দেশে ফিরতে পারছেনা, নির্বাচনের পর তাকে ফেরত আনা হবে কিন্তু।
সালাউদ্দিন আহমেদ আমার এলাকার সন্তান উনি একজন সৎ সাহসী স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ।
সালাহউদ্দিন উদ্দিন আহমেদ একটি নাম একটি ইতিহাস। একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি। উনি দক্ষিণ চট্রগ্রাম তথা বাংলাদেশের মেটো পথের উন্নয়নের রূপকার। মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতার বাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, মেরিন ড্রাইভ সহ অনেক উন্নয়নের পরিকল্পনাকারী।
বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কত যে নিরাপত্তাহীন জীবন পার করছে সালাউদ্দিন আহমেদ সাহেব কে ভারতে পাওয়া একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। এখানে বিচার বিভাগ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে সরকারের আজ্ঞাবহ, দূরনীতিগ্রস্থ তা মেয়র তাপসের বক্তব্যে আজ প্রমাণিত।
সালাহউদ্দিন নিরপরাধ।
একজন নিরপরাধ মানুষ কি ভাবে দূরবিসহ জীবন যাপন করছে সালাউদ্দীন সাহেব তার একটা প্রকৃষঠ উদাহরণ। মহান আল্লাহ উনার জীবনকে সহজ করে দিবেন এই কামনা করি।ধন্যবাদ।
একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে এভাবে ভিন দেশে পুশ করে দিয়ে বছরের পর বছর তার স্বাধীন স্বত্ত্বাকে অপমান করা উপেক্ষা করা এটা কেমন মানবতা? ওই দেশের আইনি প্রকৃয়া সম্পন্ন করে এখন সে দেশে আসার জন্য আইন গত ভাবে দরখাস্ত করেছেন কিন্তু আমার দেশের দূতাবাস তাকে অনুমোদন না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন এতেইতো বুঝা যায় বিষয় টা কি হয়েছে। এভাবে রাজনীতি করে কি লাভ?
Mr Salahuddin should contact US State Dept. instead of Bangladesh High Commission in India.
To the current SHW regime, Salahuddin is not a Bangladeshi citizen but a BNP leader. As long as this smelly feces is in power, Salahuddin will never be able to return to his home country.