তথ্য প্রযুক্তি
ইডটকো গ্রুপ ও রোল্যান্ড বার্জার এর যৌথ গবেষণা প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৫:২০ অপরাহ্ন

এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী কোম্পানি ইডটকো গ্রুপ, ‘রোল্যান্ড বার্জার’ এর সঙ্গে যৌথভাবে, ‘টাওয়ারিং অ্যাবভ: বিল্ডিং টুমোরো’স ডিজিটাল ইনফ্রাস্টাকচার ইন এশিয়া’ শিরোনামে যৌথ গবেষণা প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, অবকাঠামো শেয়ারিং এর মাধ্যমে টাওয়ার কোম্পানিগুলো মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর সমূহের (এমএনও) সর্বোচ্চ ১০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবে এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী ৫জি সংযোগ সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তাদের ধারাবাহিক সঞ্চয় হবে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, এই গবেষণায় আরো দেখা হয়, টাওয়ারকো-গুলো ২০২৫ সালের মধ্যে ১৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে টেকসই ডিজিটাল সংযোগ অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারে। ইডটকো, রোল্যান্ড বার্জার ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) যৌথ প্যানেল আলোচনায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে উঠে আসে এশিয়ার ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দেশ- মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় টাওয়ারকোর বিশেষ ভূমিকা ও সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়গুলো। প্রতিবেদনে আরো প্রাধান্য পায়, ইন্ডাস্ট্রির জন্য বর্ধিত সামাজিক-অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়, সমাজ ও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি নীতি ও আইন সংস্কারের সুপারিশ সমূহ-যেগুলো আরো সম্ভাবনা তৈরি করবে; এছাড়া, টাওয়ার কোম্পানিগুলো যেভাবে টেকসই ডিজিটাল সংযোগের প্রসারে ভূমিকা রাখছে-তাও গবেষণায় উঠে আসে। টাওয়ারকো এবং এমএনও অবশ্যই পরবর্তী স্বাভাবিকতায় সম্পর্কযুক্ত থাকতে হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, ৫জি ইন্ডাস্ট্রি রূপান্তরের ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ডিজিটাল অবকাঠামো। টাওয়ারকোগুলো ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাতা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ভূমিকার রূপান্তর ঘটাচ্ছে ও ইন্ডাস্ট্রির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে সক্রিয় অবকাঠামো শেয়ারের আরো সুযোগ তৈরি হয়। কোভিড-১৯ মহামারির পর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায়ের ক্ষেত্রে এই সেবা সমূহ শুধু বিশেষ তাৎপর্যই বহন করে না বরং ৫জি যুগের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণও।
এই গবেষণায় আরো জানা গেছে শীর্ষস্থানীয় টাওয়ার কোম্পানিগুলো ভ্যালু চেইনের অবদান রাখার মাধ্যমে এমএনও-গুলোকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেমন উদহারণ স্বরূপ বলা যেতে পারে অপেনআরএএন, নেটওয়ার্ক-এজ-এ সার্ভিস সল্যুশন এবং এমএনওদের ব্যয়-ও-নেটওয়ার্ক সক্ষমতার জন্য ‘এজ কম্পিউটিং’ সহ অভিনব ৫জি-সক্ষমতাযুক্ত সল্যুশন প্রদানের মতো বিষয়গুলো। এসইএ, রোল্যান্ড বার্জার এর ম্যানেজিং পার্টনার ডেমিয়েন ডুজাকিয়ার বলেন, “বর্তমান সময়ে টেলিযোগাযোগ ইন্ডাস্ট্রির গতিবিধির কথা বলতে গেলে, টাওয়ারকোকে অবশ্যই সক্রিয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে, যাতে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী পরিধি, কার্যক্ষমতা ও সহজগম্যতা বাড়ানো যায়। সঠিক রেগুলেটরি পরিবেশের জন্য ও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ৫টি নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন:- শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামোর প্রতিশ্রুতি, অনুকূল লাইসেন্সিং এবং মালিকানা ব্যবস্থা, ইনফ্রা শেয়ারিং এর ওপর গুরুত্বারোপ, সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়া, সংশ্লিষ্ট সেবায় সক্ষমতা। গবেষণায় আরো উঠে এসেছে, পরবর্তী স্বাভাবিকতায় টাওয়ারকো ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্ব কাজে লাগাতে প্রয়োজন নিয়মের সংস্কার ও বিভিন্ন নীতির পরিবর্তন। এটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রণোদনা প্রদান, সহায়ক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রতিষ্ঠা, যাতে টাওয়ারকো কোম্পানিগুলো আরো অভিনব উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব ও সেবা দিতে পারে।
মন্তব্য করুন
তথ্য প্রযুক্তি থেকে আরও পড়ুন
তথ্য প্রযুক্তি সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]