রাজনীতি
গাজীপুরের মাধ্যমে নিজেদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করছে সরকার: আমীর খসরু
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ দিন আগে) ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। এটি দুঃখের বিষয়। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে হবে, তাই গাজীপুরে সরকার সেটা দেখিয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের আলোচনা আসছে পরে, প্রথমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগে নির্বাচনী আলোচনা একটি ব্যর্থ আলোচনা। যারা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগে নির্বাচনী আলোচনার কথা বলছেন, তারা এই সরকারের পক্ষে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের যতটুকু স্বাধীনতা আছে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দমন করছে সরকার। এ ছাড়া কিছু মানুষের জন্য আজ সাংবাদিকরা হুমকির মুখে আছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু সাংবাদিকতায় মানদণ্ড ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ভিসা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা বলা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের যতটুকু স্বাধীনতা আছে, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে দমন করছে সরকার। সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনের মধ্যে এমন কিছু আছে, যা প্রকাশ করতে ভয় পায় সরকার। এর আগে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ডিআরইউ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি র্যালি বের করা হয়।
পাঠকের মতামত
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছে আওয়ামী লীগ টু আওয়ামিলীগের এখানে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে কি হয়নি সেটা বলার কিছু আছে কি? আর এভাবে নির্বাচন করে যদি সুষ্ঠ নির্বাচনের তকমা দেয়া যায় তাহলে সাধারণ মানুষের কি আর বলার আছে। হয়তো এভাবেই চলতে থাকবে সবকিছু।
বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানাগেছে গাজীপুরের নির্বাচনে ১০%এর কম ভোট পরেছে অথচ নির্বাচন কমিশন বলছে ৫০% ভোট পরেছে, ইভিএমে ভোট শেষ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে ফলাফল দেয়া হয় অথচ এখানে গভীর রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন এখানে পর্দার আড়ালে অনেক খেলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন সরকারের কথামত কাজ করেছে বুঝা যাচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন মতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
বিএনপি একটি অবুঝ শিশুর দলে পরিণত হয়েছে। যা করে রাখঢাকের মধ্যেই করে, কিন্তু রাজনীতিটা যতটা রাখঢাকের তারচে অনেক বেশি আড়ালের। আড়ালের রাজনীতিটা বা কৌশলের রাজনীতিটা বিএনপির শিশু রাজনৈতিকরা আয়ত্ত করতে পারেনাই। দক্ষ রাজনৈতিকদের জায়গা সেখানে নেই। রাজনীতির অনুশীলনের জায়গাটাও নেই । আওয়ামীলীগ বিরোধী সাধারণ ভোটারদের ভোটকে পুঁজি করে একটি ভোট সর্বস্ব দল দাঁড়িয়ে গেছে যা, রাজনীতি সুস্থ অনুশীলন সেখানে সবসময়ই পরিত্যাজ্য। এবার আওয়ামীলীগ মাইনক্যা চিপায় ছিলো এই সুযোগযকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে দলের প্রতীক ছাড়া হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারতো। এতে স্থানীয় সরকারে তাদের প্রতিনিধিরা জাতীয় নির্বাচনে শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে পারতো। স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা কঠোর বিধি নিষেধ থাকা স্বত্তেও অনেক নেতা নেত্রী কর্মী সেসব তোয়াক্কা না করে নির্বাচন করছে। আমি সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বহুবার নির্বাচন করার অনুরোধ করেছি, প্রথমে নির্বাচন করার প্রবল ইচ্ছে ছিলো হঠাৎ করে ইউটার্ণ দিলো।এতে সিলেটের সাধারণ ভোটাররা ব্যতিত হয়েছেন সাধারণ ভোটাররা আরিফকে ভোট দেবার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আরিফ প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে ও লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ ভোটের ব্যাবধানে জয়ি হতো। আওয়ামিলীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন ভালো মানুষ জোর করে কিংবা অসদুপায়ে জেতার মানসিকতা তার নেই বা ছিলনা যতরা আমি নিজে তাকে জানি বা চিনি তার নিজের প্রতি তার আস্থা আছে এবং জনগণের প্রতি তার বিশ্বাস অপরিসীম তাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। ঘনিষ্টভাবে মিশে যে টুকু জেনেছি আনোয়ার চৌধুরী একজন ভালো মানুষ। জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা করে জয় পরাজয় মেনে নেবার স্ব সংকল্প তার শুরু থেকেই। আরিফুল হক ভুলে শুদ্ধে গত দশ বছর কাজের ক্ষেত্রে যে যেসকল অসাধ্য সাধন করেছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তা একজনমে পারা সম্ভব করতে পারতেন কিনা আমার সেই বিশ্বাসে অনেক দুর্বলতা আছে। আরিফুল হক দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন না করে ভুল করেছেন কিনা আগামীর দিন গুলোই তা বলে দিবে।
বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানাগেছে গাজীপুরের নির্বাচনে ১০%এর কম ভোট পরেছে অথচ নির্বাচন কমিশন বলছে ৫০% ভোট পরেছে, ইভিএমে ভোট শেষ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে ফলাফল দেয়া হয় অথচ এখানে গভীর রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন এখানে পর্দার আড়ালে অনেক খেলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন সরকারের কথামত কাজ করেছে বুঝা যাচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন মতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
হঠাৎ দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়া নির্বাচন -------------------------------------------------------- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকার কি নড়েচড়ে বসেছে? তাই সেই নির্দেশনা মোতাবেক কমিশন গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে? এ বিষয়ে মানবজমিনের একটি খবরের শিরোনাম হচ্ছে, "মার্কিন ঘোষণার পরই কি বদলে গেল গাজীপুরের দৃশ্যপট?" (মানবজমিন, পিয়াস সরকার, গাজীপুর থেকে, ২৬ মে ২০২৩) তাহলে কি গাজীপুরের নির্বাচন সাজানো? নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তা ভালো বলতে পারবেন। আজমত উল্লাহ খান গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। তাঁর তুলনায় জাহাঙ্গীর আলম তরুণ প্রজন্মের হলেও তরুণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়। গেলো নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের টিকেটে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। দলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে জাহাঙ্গীর আলম মেয়র পদ হারায় এবং চূড়ান্ত ভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়। এবার নির্বাচনের আগে তাঁকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়। বিপত্তি বাঁধে জাহাঙ্গীর আলম যখন প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাহ খানের মেয়র প্রার্থীতার বিপরীতে নিজে প্রার্থী হয়। নির্বাচন কমিশনে তাঁর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি হয়তো আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছে। তাই তাঁর মা'কে নির্বাচনে প্রার্থী করে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে। তাঁর মা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে ১৬১৯৭ ভোটে হারিয়ে গাজীপুর সিটির প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোট করার দাবি করেছে। প্রথম আলো লিখেছে, "গাজীপুর সিটির ভোটে অত্যন্ত সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। এই সন্তুষ্টির কথা আজ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি ভোট গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, এই সন্তুষ্টির কারণ ভোটার, প্রার্থী ও গণমাধ্যমও ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট। তাই নির্বাচন কমিশনও অত্যন্ত সন্তুষ্ট।" (প্রথম আলো ২৫ মে ২০২৩) এখানে যে বিষয়টি রাজনৈতিক মহলের ধরার বিষয় তা হচ্ছে, প্রথমতঃ গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন নয়, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। সিটি নির্বাচনে সে সুযোগ নেই। সুতরাং, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই কি আর অসুষ্ঠু হলেই কি। বিরোধী দলের জন্য এটা কোনো ফ্যাক্টর নয়। দ্বিতীয়: জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি আওয়ামী লীগ ঘরনার। জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত আজমত উল্লাহ খান নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী অন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। তাই মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর দৃশ্যপট বদলে যাওয়া একটি সিটি করপোরেশনের (সাজানো) নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠান জায়েজ হবেনা। হিসাব খুবই সহজ। জাতীয় নির্বাচনে সরকারের ক্ষমতা হারাবার ভয় যেমন থাকে তেমনি ক্ষমতায় বহাল থাকারও সুযোগ থাকে। কোনো সরকার নিজের পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে পরাজিত হওয়ার ঝুঁকি কি অতীতে নিয়েছে? যেমন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা ভোট করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে। তাই ভবিষ্যতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করে পরাজয়ের ঝুঁকি নেবে আওয়ামী লীগের মতো বিচক্ষণ ক্ষমতালিপ্সু একটি সরকার তা শিশুও বিশ্বাস করেনা।
আজমত উল্লাহ খান গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। তাঁর তুলনায় জাহাঙ্গীর আলম তরুণ প্রজন্মের হলেও তরুণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়। গেলো নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের টিকেটে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। দলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে জাহাঙ্গীর আলম মেয়র পদ হারায় এবং চূড়ান্ত ভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়। এবার নির্বাচনের আগে তাঁকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়। বিপত্তি বাঁধে জাহাঙ্গীর আলম যখন প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাহ খানের মেয়র প্রার্থীতার বিপরীতে নিজে প্রার্থী হয়। নির্বাচন কমিশনে তাঁর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি হয়তো আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছে। তাই তাঁর মা'কে নির্বাচনে প্রার্থী করে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে। তাঁর মা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে ১৬১৯৭ ভোটে হারিয়ে গাজীপুর সিটির প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোট করার দাবি করেছে। প্রথম আলো লিখেছে, "গাজীপুর সিটির ভোটে অত্যন্ত সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। এই সন্তুষ্টির কথা আজ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি ভোট গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, এই সন্তুষ্টির কারণ ভোটার, প্রার্থী ও গণমাধ্যমও ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট। তাই নির্বাচন কমিশনও অত্যন্ত সন্তুষ্ট।" (প্রথম আলো ২৫ মে ২০২৩) এখানে যে বিষয়টি রাজনৈতিক মহলের ধরার বিষয় তা হচ্ছে, প্রথমতঃ গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন নয়, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। সিটি নির্বাচনে সে সুযোগ নেই। সুতরাং, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই কি আর অসুষ্ঠু হলেই কি। বিরোধী দলের জন্য এটা কোনো ফ্যাক্টর নয়। দ্বিতীয়: জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তিনি আওয়ামী লীগ ঘরনার। জায়েদা খাতুনের কাছে পরাজিত আজমত উল্লাহ খান নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী অন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। তাই একটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠান জায়েজ হবেনা। হিসাব খুবই সহজ। জাতীয় নির্বাচনে সরকারের ক্ষমতা হারাবার ভয় যেমন থাকে তেমনি ক্ষমতায় বহাল থাকারও সুযোগ থাকে। কোনো সরকার নিজের পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে পরাজিত হওয়ার ঝুঁকি কি অতীতে নিয়েছে? যেমন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা ভোট করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে। তাই ভবিষ্যতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করে পরাজয়ের ঝুঁকি নেবে আওয়ামী লীগের মতো বিচক্ষণ ক্ষমতালিপ্সু একটি সরকার তা শিশুও বিশ্বাস করেনা।
এটা ঠিক গাজীপুরের মাধ্যমে সরকার নিজেদেরকে দুধ দিয়ে গোসল করার অভিনয় করছেন, যেটা করছে কয়েকদিন আগে এক পাতি নেতা। সেক্রিফাইস এর জন্য হয়তো আজমতউল্লা যাবতীয় খরচ ফেরত পাবেন কিন্তু বিরোধী দলের উচিত ইদুরের খাঁচায় অল্প খাদ্যের জন্য না ঢোকাই ভালো। এখন গাছের দুলতে শুরু করেছে সত্যিকার অর্থে আমেরিকা যদি দু একটা শট করেন তাহলে হয়তোবা বিরোধীদের জন্য সহজ হবে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে।
ভুল বলেছেন, গাজীপুরেও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হয়নি। ভোট কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের শিখিয়ে দেয়ার নামে প্রথম ভোট নৌকায় নিয়ে পরে বলেছে এবার আপনি যাকে খুশি তাকে দেন।