অর্থ-বাণিজ্য
জাতীয় আইনজীবী সমিতির ১১ প্রস্তাব
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন মন্ত্রণালয়ের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০২৩, সোমবারব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ব্যাংক ও বীমা বিভাগ আলাদা করে নতুন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রাক বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান এ দাবি জানান। দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রত্যক্ষ ও বাস্তবমুখী তদারকি বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক ও বীমা এ দুটি বিভাগকে নিয়ে একটি আলাদা নতুন মন্ত্রণালয় করা সময়ের দাবি। একইসঙ্গে বর্তমান দেশের জনসংখ্যা সাড়ে সতের কোটি হওয়ায় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪৫০ এ উন্নীত করার দাবি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আগামী অর্থবছরে দেশের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রাণী সম্পদ ও আবাসন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থ ৫ শতাংশ অগ্রিম কর প্রদান সাপেক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মেনে নেয়ার প্রস্তাব আসন্ন বাজেটে অন্তর্ভুক্তি করার দাবি জানান।
কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করলে বিনিয়োগকৃত অর্থ ৫ শতাংশ অগ্রিম কর প্রদান সাপেক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মেনে নেয়ার প্রস্তাব আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্তি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। এ ছাড়া রাজস্ব আইনের সুবিধার্থে ভ্যাট আদায়ের বর্তমান পদ্ধতির সংস্কার করার দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে বাণিজ্যিক ভবন (বাড়ি) এর ভাড়ার ওপর প্রচলিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের প্রদান করার বিধান হওয়ায় পরোক্ষভাবে উহার ফল ক্রেতাদের ওপর ব্যয়ভার পড়ছে।
বর্তমান বাস্তবতার আলোকে বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধকল্পে অনতিবিলম্বে এটা প্রত্যাহার করে বাণিজ্যিক ভবন বা বাড়ির মালিকদের উক্ত ভ্যাট প্রদানের প্রস্তাব আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্তি করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া, আইনজীবী কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় মোট কোর্ট ফি’র ৫ শতাংশ বার কাউন্সিল বেনিভোলেন্ট ফান্ডে জমা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসন্ন বাজেটে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থাকরণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামী সাধারণ নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ আসনে আইনজীবীদের মনোনয়ন প্রদানের জন্য সরকারি দলসহ সকল বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান। এ সময় সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. সগীর আনোয়ার, আইনজীবী কে এম জাবির, নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, রুহিন চৌধুরী ফরহাদ, সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি, মো. আব্দুছ ছবুর দেওয়ান, মো. কামাল হোসেন মিয়া, মোশাররফ হোসেন সেতু, মিজানুর রহমান, সুবাইয়া বেগম, জোবাইদা পারভীন প্রমুখ।