রকমারি
১৭ বছর ধরে শুধু কোমল পানীয় খেয়ে বেঁচে আছেন ইরানের এই ব্যক্তি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ মাস আগে) ২০ মে ২০২৩, শনিবার, ৪:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

তার নাম গোলামরেজা আরদেশিরি। আবাসস্থল ইরান। সম্প্রতি এই বৃদ্ধ দাবি করেছেন, তিনি না-কি ১৭ বছর ধরে কোনও খাবার এবং পানি খাননি । শুধু কোমল পানীয় খেয়েই বেঁচে আছেন। বৃদ্ধের এমন অদ্ভুত দাবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। আরদেশিরি, একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি যিনি ফাইবারগ্লাস মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পেপসির মতো কার্বনেটেড পানীয় নাকি তার জীবনধারণের উৎস, এমনটাই জানিয়েছেন আরদেশিরি।
শুধু তাই নয়, যখনই তিনি ক্লান্ত বোধ করেন তখনি দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য কার্বনেটেড পানীয়ের উপর নির্ভর করেন। গোলামরেজা স্থানীয় মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করেছেন যে, তিনি ২০০৬ সালের জুনে খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করেন। তার পর দুই দশক ধরে খাবার ছুঁয়ে দেখেননি এই বৃদ্ধ। তার এই অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সত্ত্বেও, পেশার প্রতি আর্দেশিরের নিবেদন তাকে তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সমর্থন করতে সক্ষম করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি তার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য যথেষ্ট তহবিল সরবরাহ করতে পেরেছিলেন।
ইরানি এই বৃদ্ধ বলেন, "কোনো দুর্ঘটনার কারণে নয়। আমি হঠাৎ করেই কোমল পানীয় খাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। '' স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমার সব সময় মনে হয় মুখের ভিতর চুলজাতীয় কিছু রয়েছে। কোনও ভাবেই সেটিকে বার করা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরাও আমার এই রোগটিকে ধরতে পারেননি। আর সেই কারণেই আমার খাবারের প্রতি অনীহা। খিদেই পায় না। ''
একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া সত্ত্বেও, গোলামরেজা আরদেশিরি স্বীকার করেছেন যে, কোমল পানীয়ের উপর তার একচেটিয়া নির্ভরতার কারণ বিশেষজ্ঞরাও সেটি বুঝতে পারেননি। তার পরিবার অবশ্য স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসেই অভ্যস্ত। আরদেশিরির ঘুমের সময়সূচীও বেশ অদ্ভুত, প্রতি রাতে মাত্র চার ঘন্টা বিশ্রাম নেন তিনি । ঘুমের ঘাটতি পূরণের জন্য তিনি নাকি প্রতিদিন তিন লিটার কার্বনেটেড পানীয় গ্রহণ করেন, যা তার শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করে ।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
মন্তব্য করুন
রকমারি থেকে আরও পড়ুন
রকমারি সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]