প্রথম পাতা
শর্তের বেড়াজালে হেফাজত, নানা গুঞ্জন
মানবজমিন রিপোর্ট
২০ মে ২০২৩, শনিবার
এক দশক আগে হেফাজতের উত্থান ছিল নাটকীয়। ‘অপারেশন শাপলা’র পর দৃশ্যপট বারবার পরিবর্তন হয়েছে। কখনো সমঝোতা, কখনো আন্দোলনের চেষ্টা এভাবে এগিয়েছে হেফাজত। সর্বশেষ সংগঠনটি বিপর্যয়ে পড়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকেই সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে সরকার-হেফাজত সম্পর্ক নানা মোড় নিয়েছে। বৈঠক হয়েছে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে। বেরিয়েছে সমঝোতার নানা খবর। এর আলোকেই দলটির বেশির ভাগ নেতা ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। পাঁচটি শর্তের ভিত্তিতে হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
নানা সূত্রে হেফাজতকে পাঁচটি শর্ত দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
১. কোনো রাজনীতির সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না।
২. নির্বাচনে কোনো দলকে সমর্থন করা যাবে না।
৩. ধর্মীয় ইস্যুতে আন্দোলন করার পূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
৪. সাবেক ২০দলীয় জোটভুক্ত ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
৫. সংগঠনের যেসব বক্তা উগ্র বক্তব্য দেন তাদের বহিষ্কার করতে হবে।
মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী বলেন, নেতাকর্মীদের মুক্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে নানা সময়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এটা আমাদের পুরনো অবস্থান যে, হেফাজত কখনো রাজনীতি করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়। নির্বাচনেও আমাদের কোনো ভূমিকা নেই, কারও প্রতি সমর্থন থাকবে না। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের ইস্যুভিত্তিক কোনো সমঝোতা হয়নি। হেফাজতে যারা যুক্ত তারা ব্যক্তিগতভাবে অন্য যেকোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এতে বাধা নেই।
হেফাজতের নেতাদের মধ্যে এখনো কারাগারে রয়েছেন সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, সাবেক অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, রফিকুল ইসলাম মাদানী প্রমুখ। মামুনুল হক সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মামলায় হাইকোর্টে জামিন পান। তবে তার জামিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়েছে। শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীও সব মামলায় জামিন পান। পরে জামিন স্থগিত হওয়ায় তিনিও মুক্তি পাননি।
হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫০টির মতো মামলা তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় সারা দেশে ১৩৪টি মামলা হয়। আর ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট মামলা হয় ৮৩টি। এর বাইরে আরও মামলা রয়েছে।
পাঠকের মতামত
যতোই শর্ত দেয়া হোক। হেফাজত নিজ গতিতে স্বাধীন ভাবেই কাজ করবে।সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি হলেই আওয়ামী লীগের কোন শর্ত কাজে আসবেনা।আমরা অতীত কখনো ভুলিনি ভুলবো না।
হেফাজতে ইসলাম নিয়ে বড় ছোট সকল রাজনৈতিক দলই মহা চিন্তায় রয়েছে। কেউ ভাবছে আওয়ামী লীগ আলেম ওলামার উপর শাপলা চত্বর সহ আজ পর্যন্ত এতই জুলম নির্যাতন করে আসছে সেগুলো ভুলার নয় সুতরাং হেফাজতের ভোট তাদের পক্ষেই যাবে। আওয়ামী লীগ ভাবছে জুলম নির্যাতন করেছি সত্য কিন্তু একই সাথে হেফাজতের অনেক দাবী পুরণ করা হয়েছে, কওমী সনদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, এমপি মন্ত্রীরা নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করছে, হেফাজত নেতাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে হেফাজতের একাংশ সরকারের এইসব বিষয়ে খুবই সন্তুষ্ট সুতরাং আশাকরা যায় উনারা অতীত ভুলে যাবেন। মজার বিষয় হল, হেফাজতের নেতাকর্মী সমর্থক গোষ্ঠী তো ভোট দিবেই একই সাথে উনারা যেদিকে ইশারা দিবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের একাংশ আল্লাহর ভয়ে সেদিকেই ভোট দিবেন। একসময় জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত + জাতীয় পার্টি ফেক্টর ছিল আর বর্তমানে হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিরব মহা ফেক্টর। মিটিং মিছিল কিংবা সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের জানান দিতে হয়না।
ইনশাআল্লাহ ওলামায়ে কেরাম এর মাধ্যমে এ দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন হবে
তবে আমি আল রশের কাছে জানতে চাই এরা যদি লেবাসি সম্প্রদায় হয় তবে ইসলামি সমাজের ব্যক্তিদয় কারা,নিশ্চয়ই মেনন ইনু ইমরান হানিফ আর হাসাও মাহমুদরা।
হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। রাজনীতির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এর অর্থ এটা নয় যে, যারা হেফাজতে ইসলামকে সমর্থন করেন তারা রাজনীতি করতে পারবেন না।এর অর্থ এটাও নয় যে, তারা রাজনীতি করলে হেফজতে ইসলাম রাজনৈতিক দল হয়ে যাবে।
শর্তের বেড়াজাল সাময়িক। এই জাল একদিন ছিন্ন হবেই ইনশাআল্লাহ। জুলুম করে ক্ষমতায় কেউ টিকেনি যারা আছে এদের পতনও অনিবার্য।
ইসলাম শুধু মানবজাতির পারলৌকিক মঙ্গলের কথা বলে ক্ষান্ত হয়নি ইহলৌকিক কল্যান অর্জনের জন্যও লড়াই সংগ্রামের নির্দেশ করে। বরং পারলৌকিক জীবনের আগে ইহলৌকিক জীবনের কল্যান সাধন করা যায় কিভাবে সেই চিন্তা করে। আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন, ... "হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:২০১। আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুলকে স. মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক করে পাঠিয়েছেন। "হে মুহাম্মাদ। তোমাকে তো আমি শুধুমাত্র একজন সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি।" সূরা আল-ফুরকান, আয়াত:৫৬। "এ কুরআনকে আমি সত্য সহকারে নাযিল করেছি এবং সত্য সহকারেই এটি নাযিল হয়েছে। আর হে মুহাম্মাদ! তোমাকে আমি এছাড়া আর কোন কাজে পাঠাইনি যে, (যে মেনে নেবে তাকে) সুসংবাদ দিয়ে দেবে এবং (যে মেনে নেবে না তাকে) সাবধান করে দেবে।" সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত:১০৫। "হে বস্ত্র মুড়ি দিয়ে শয়নকারী, ওঠো এবং সাবধান করে দাও।" সূরা আল-মুদ্দাস্সির, আয়াত:১-২। আল্লাহ তা'য়ালা রাসূলকে স. এ নির্দেশ না দিলে তিনি হেরা গুহাতেই এবাদত করে জীবন কাটিয়ে দেয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। রাসূলের স. সমস্ত জীবনটাই ছিলো রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামের জীবন। তিনি যেমন ছিলেন ধর্মগুরু, তেমনি বিশ্বের বিপ্লবী লড়াই-সংগ্রামের সামরিক নীতির দিকনির্দেশক, রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা, শাসক, সেবক এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সেনাপতিও ছিলেন তিনি। তিনিই ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, বিশ্বচরাচরে আল্লাহর রহমত- রহমাতুল্লিল আ'লামীন। তিনি ইনসাফ ও সাম্যের মূর্ত নিদর্শন ছিলেন। তিনি মানুষের মধ্যে জাতপাত, ধনী-গরিব, আরব-অনারব, উঁচু-নীচু ভেদাভেদ উৎখাত করে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন সব মানুষ সমান। মানুষের মধ্যে সেই সর্বাধিক সম্মানিত যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে। (সূরা হুজুরাত-১৩)। উগ্রবাদ, জাতিবাদ, রক্তবাদ, ফ্যাসিবাদ, বংশবাদ, গোত্রবাদ, ভূখণ্ডবাদ, গোষ্ঠীবাদ, অন্যায়-অপরাধ ও জুলুমবাদ উৎখাত করে তিনি মধ্যপন্থা এক উম্মাহ্ গঠন করে বিশ্বমানবতার ইহলৌকিক শান্তি এবং পারলৌকিক মুক্তির নির্দেশা দিয়েছেন। পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি, এতিম ও বিধবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বংশীয় গৌরব, অহঙ্কার, এবং বাপদাদার ধর্মের মিথ্যা আভিজাত্যের দর্পচূর্ণ করে তিনি ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ্ নেই। ইলাহ্ এমন স্বত্বাকে বলা হয় যার হুকুম পালন করা হয় এবং যিনি হুকুম দেয়ার বা কর্তৃত্ব করার অধিকার সংরক্ষণ করেন। "এবং আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্দেরকে ডেকো না। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। সব জিনিসই ধ্বংস হবে কেবলমাত্র তাঁর সত্ত্বা ছাড়া। শাসন কর্তৃত্ব একমাত্র তাঁরই এবং তাঁরই দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে।" সূরা আল- ক্কাসাস, আয়াত:৮৮। অর্থাৎ, শাসন ও কর্তৃত্ব এবং এরজন্য যাবতীয় আইনকানুন প্রনয়নের অধিকার একমাত্র আল্লাহরই। "কাজেই হে মুহাম্মাদ! তুমি আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী তাদের যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালা করো এবং তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করো না। সাবধান হয়ে যাও, এরা যেন তোমাকে ফিতনার মধ্যে নিক্ষেপ করে সেই হেদায়াত থেকে সামান্যতমও বিচ্যুত করতে না পারে, যা আল্লাহ তোমার প্রতি নাযিল করছেন। যদি এরা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে জেনে রাখো, আল্লাহ এদের কোনো কোনো গোনাহর কারণে এদেরকে বিপদে ফেলার সিদ্ধান্তই করে ফেলেছেন। আর যথার্থই এদের অধিকাংশ ফাসেক। (যদি এরা আল্লাহর আইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়) তাহলে কি এরা আবার সেই জাহেলিয়াতের ফায়সালা চায়? অথচ যারা আল্লাহর প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী তাদের দৃষ্টিতে আল্লাহর চাইতে ভাল ফায়সালাকারী আর কেউ নেই।" সূরা আল-মায়িদাহ, আয়াত:৪৯-৫০। "না, হে মুহাম্মাদ! তোমার রবের কসম, এরা কখনো মু’মিন হতে পারে না যতক্ষণ এদের পারস্পরিক মতবিরোধের ক্ষেত্রে এরা তোমাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নেবে, তারপর তুমি যা ফায়সালা করবে তার ব্যাপারে নিজেদের মনের মধ্য যে কোনো প্রকার কুণ্ঠা ও দ্বিধার স্থান দেবে না, বরং সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।" সূরা আন-নিসা, আয়াত:৬৫। "যখন আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ের ফায়সালা দিয়ে দেন তখন কোন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীর সেই ব্যাপারে নিজে ফায়সালা করার কোন অধিকার নেই। আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করে সে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়।" সূরা আল-আহযাব, আয়াত:৩৬। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের স. ফায়সালা অমান্য করা সুস্পষ্ট নাফরমানি এবং নাফরমানরা গোমরাহিতে নিমজ্জিত। তারা মুমিন নয়, ফাসেক। "মু’মিনদের কাজই হচ্ছে, যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ডাকা হয়, যাতে রসূল তাদের মোকদ্দমার ফায়সালা করেন, তখন তারা বলেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। এ ধরনের লোকেরাই সফলকাম হবে। আর সফলকাম তারাই যারা আল্লাহ ও রসূলের হুকুম মেনে চলে এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকে।" সূরা আন্-নূর, আয়াত:৫১-৫২। শুরুতেই বলা হয়েছে রাসূলের স. সমগ্র জীবনটাই রাজনৈতিক লড়াই সংগ্রাম করে কেটেছে। আল্লাহর উলুহিয়াত বা শাসন কর্তৃত্ব কায়েম করাই ছিলো তাঁর সমস্ত লড়াই সংগ্রামের একমাত্র উদ্দেশ্য। তাহলে বুঝা যাচ্ছে, রাসূলের স. সমস্ত জীবনের সমস্ত লড়াই সংগ্রাম বা চেষ্টা সাধনার সাথে রাজনীতি ওতোপ্রোতভাবে মিশে ছিলো। শুরুতেই হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাসূলের স. আসল কাজ, কুরআনের আসল আহ্বান, আল্লাহ তায়ালার আসল আদেশ হচ্ছে, শাসন কর্তৃত্ব আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো চলবেনা। তার মানে, ইসলাম পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক মতবাদ। যারা রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করে ইসলামের হেফাজত করতে চায় তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। রাসূলের স. মূল কাজ ও কুরআনের আসল আহ্বান তাঁরা পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ আছে। তবে, কুরআনের আহ্বান বুঝেও যদি তাঁরা এড়িয়ে চলেন এবং শুধুমাত্র নিছক কারামুক্তি ও দুনিয়ার নিরাপত্তার জন্য আপোষ করেন তাহলে নবী-রাসূলগণের আদর্শের ধারেকাছেও যে তাঁরা নেই তা নি:সন্দেহে বলা যায়। আল্লাহর ইলুহিয়াত কায়েম করতে গিয়ে অসংখ্য নবীদের হত্যা করা হয়েছে, তবুও তাঁরা আপোষ করেননি। হেফাজতের নেতাদের কারাগারে বন্দী করা হয়েছে কুরআনের কথা বলার জন্যই। কিন্তু, কারাগার থেকে মুক্তির জন্য তাঁদের পেরেশানি দেখে মনে হয় তাঁরা আল্লাহর সাহায্যের, তাঁর প্রতিদানের ও পুরষ্কারের কথা ভুলে গিয়েছেন। মনে হয় তাঁরা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কি ভুলে গিয়েছেন, "আল্লাহর ঘোষণা: "হে ঈমানদারগণ! সবর ও নামাযের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো, আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:১৫৩। মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী একদিকে বলেছেন তাঁদের পুরনো অবস্থান, 'হেফাজত কখনো রাজনীতি করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না'। আবার বলেছেন, 'হেফাজতে যারা যুক্ত তারা ব্যক্তিগতভাবে অন্য যেকোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। এতে বাধা নেই।' এতে তিনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন যে হেফাজতের নেতাকর্মীরা হেফাজতের নামে রাজনীতি করতে পারবেনা, কিন্তু অন্য দলের সঙ্গে মিশে করতে পারবে। তবে, হেফাজতের অরাজনৈতিক সংগঠন, অর্থাৎ রাজনীতি বিহীন ধর্ম পালন যেমন ইসলামের সঙ্গে যায়না, তেমনি রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করার মুচলেকা দিয়ে ইহলৌকিক সুবিধা হাসিল করাও ইসলামের সাথে যায়না। এটা আল্লাহর নির্দেশের স্পষ্ট অবাধ্যতা, রাসূলের স আদর্শের বিরোধিতা এবং কুরআনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহ্ তা'য়ালা সবাইকে বিপদ আপদ ও বালামুসিবত থেকে নিরাপদে রাখুন, হেফাজত করুন এবং হেদায়েতের উপর অটল থাকা সহজ করে দিন এবং তৌফিক দান করুন।
কেয়ামত হয়ে গেল ও কোন জালিমের সাথে আপোষ করার সুযোগ নেই আলেমদের মুক্তির বিষয়টি এটা হয়তো হেফাজতের সাময়িক কোন কৌশল আর আগামী নির্বাচনে ভোটের জন্য যদি হেফাজতের শীর্ষ মুরব্বিরা তার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও যদি বলে জালিমদেরকে ভোট দিতে তারপরেও তাদের কর্মী সমর্থকদের যাররা পরিমাণ থাকতে তারা ভোট দিবে না আর দালালি তো কোন প্রশ্নই আসে না।
It's so funny, they raised political demands earlier but can't do politics now. They are ready to make deals with the GOV to save themselves, but don't care about the people & country. They don't want to fight for justice. What kind of Muslims they are?
আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নগন্য এক কর্মী হিসেবে আমি আশাবাদী খুব শিগগিরই কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি হবে ইনশাল্লাহ
ইসলামের হেফাজতকারী মহান আল্লাহ। এরা বিভ্রান্তি দলাদলি আর বিভাজন তৈরী করা এক লেবাসী সম্প্রদায়। তারা নিজেরা আগে শুধু মাত্র কোরআনের শিক্ষায় হেদায়েত প্রাপ্ত হোক।আমিন।