তথ্য প্রযুক্তি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়োগ করে ৭৮০০ কর্মীকে ছাঁটাই করছে আইবিএম
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৮ অপরাহ্ন
বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই চাকরি হারাতে শুরু করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে। এবার এই পথেই হাঁটছে বিশ্বের অন্যতম বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন বা আইবিএম ৭৮০০ কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অরবিন্দ কৃষ্ণ বলেন, আগামী বছরগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এই কর্মীদের প্রতিস্থাপিত করা হবে। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির কারণে ওই সব কর্মী এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখা হবে। মূলত ব্যাক-অফিস ফাংশনে যেমন মানব সম্পদ বিভাগের বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই বিভাগগুলি মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার কর্মী বর্তমানে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
কৃষ্ণ বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি যে এর ৩০% আগামী পাঁচ বছরের মেয়াদে এআই এবং অটোমেশন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।
সম্প্রতিই এই পদগুলিতে আরও ৭৮০০ কর্মী নিয়োগের কথা ছিল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা স্বয়ংক্রিয় করার এবং কোড তৈরি করার দক্ষতা বেড়েছে এটি জনসাধারণের কল্পনাকে অনেকটাই দখল করে ফেলেছে। আর তাই অনেক পর্যবেক্ষক শ্রম বাজার ব্যাহত হতে পারে ভেবে চিন্তিত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই আইবিএমের তরফে মোট কর্মীসংখ্যার ১.৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে আইবিএমের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কৃষ্ণ বলেন -আরও কিছু কাজ যেমন কর্মসংস্থান যাচাইকরণ সংক্রান্ত চিঠি প্রদান বা বিভাগগুলির মধ্যে কর্মচারীদের স্থানান্তর করা সম্ভবত সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা হবে। তবে কিছু এইচআর ফাংশন, যেমন কর্মশক্তির গঠন এবং উৎপাদনশীলতা মূল্যায়ন সম্ভবত প্রতিস্থাপন করা হবে না। আইবিএমে বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার কর্মী রয়েছে, এক বছর আগের তুলনায় আজ প্রতিভা খুঁজে পাওয়া সহজ বলে মনে করেন কৃষ্ণ। নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক আইবিএম তার সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে চাকরি ছাঁটাই সহ ব্যয় কমিয়ে লাভের মুখ দেখেছে।
কোম্পানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জেমস কাভানাহ আশা করছেন , নতুন উৎপাদনশীলতা এবং পদক্ষেপগুলির জেরে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কোম্পানি বছরে ২ বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় করবে। ২০২২ সালের শেষের দিকে কৃষ্ণ বলেছিলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মন্দা এড়াতে পারে। যদিও এই বছরের শেষের দিকে তিনি মন্দার আঁচ পাচ্ছেন। যদিও কোম্পানির শক্তিশালী সফটওয়্যার পোর্টফোলিও মন্দার মধ্যেও একে স্থিতিশীল রাখবে বলে মনে করছেন ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের অনুরাগ রানা।
সূত্র : লাইভ মিন্ট