ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

'ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল ইকোনমির সঙ্গে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে'

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১১ মাস আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:২১ অপরাহ্ন

mzamin

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ডিজিটাল ইকোনমির সঙ্গে মনস্তাত্বিকভাবে সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে অনেক কথা বলা যাচ্ছে না। এমনকি লেখালেখির ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। 

শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্যাক্সিং দ্য ডিজিটাল ইকোনমি: ট্রেডি-অবস অ্যান্ড অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সেমিনারে সংস্থাটির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনেকটা বিশেষ ক্ষমতা আইন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সংস্কার করা প্রয়োজন, ডিজিটাল কথাটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা সাইবার সিকিউরিটি আইন হতে পারে।

আলোচনায় আবদুল মজিদ বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত কেন কম হচ্ছে, কোথায় কোথায় লিকেজ সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় কেন বাড়ছে না, সেটা জাতীয় সংসদেও আলোচনা হওয়া দরকার। লিকেজগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হওয়া দরকার। সিপিডিও এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আমাদের ইকোনমির বড় অংশ ডিজিটাল ইকোনমি হবে।

বিজ্ঞাপন
এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে রাজস্ব বাড়াতে পারি, এ সময় সামনে চলে এসেছে।

এ বিষয়ে আব্দুল মজিদ বলেন, স্মার্ট শব্দটির ভেতরে যদি অস্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ঠগবাজি থাকে তবে শব্দটিই পরে দুঃখ করবে। এ কথা এ জন্য বলছি যে, আমাদের মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করে যে, মানুষ কেন কর দিচ্ছে না। যিনি কর দিচ্ছে না তাকে যদি বলি উৎস উল্লেখ করতে হবে না কিংবা কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই, তবে যিনি কর দিচ্ছেন তার মনে হবে যে, আমি কেন কর দিচ্ছি! আমাকেও তো কোনো প্রশ্ন করা হবে না। তাই আমাদের ধ্যান-ধারণাও পাল্টাতে হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজিটাল ইকোনমিক আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও কর অনুপাত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বড় বড় কোম্পানি, যাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু রাজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নেই। সে বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যৌক্তিকভাবে ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় সেটাও ‍দেখতে হবে। সেটার জন্য প্রতিষ্ঠান ও আইনগত প্রস্তুতি দরকার সেটাও নিতে হবে। তাদেরকে কীভাবে করের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে ডব্লিউটিএর পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলে বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন যাচ্ছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে, তার সঠিক হিসাব নেই। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থানে শীর্ষ দশের মধ্যে। এখান থেকে অর্থ আসার পরিমাণও জানা নেই। এসব ক্ষেত্রে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পেপ্যালের মতো গেটওয়ের সু্বিধা প্রয়োজন। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে, করারোপ বা প্রণোদনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status