অর্থ-বাণিজ্য
যে কারণে হাজার কোটি টাকার তহবিল চান পোলট্রি খামারিরা
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার, ৪:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৬ অপরাহ্ন
কয়েক দফা ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ প্রান্তিক খামারিদের। ক্ষতির মুখে পড়ায় এরইমধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মুরগির বাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তহবিলের দাবি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে সারা দেশে ৬০ হাজার খামার টিকে আছে। এরই মধ্যে যেসব খামারি লোকসানে ব্যবসা ছেড়েছেন, তাঁদের ব্যবসায় ফিরিয়ে আনতে হলে সহজ শর্তে ঋণসুবিধা দিতে হবে। সে জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে বিপিএ। সংগঠনটি বলছে, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা গড়ে ১০ লাখ টাকার ঋণে রয়েছেন। তাতে এ খাতের খামারিদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণ পরিশোধে তহবিল সুবিধা চেয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি তারা পোলট্রি বোর্ড গঠনেরও দাবি জানায়।
এদিকে এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়। গত সপ্তাহের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২১০ টাকা। আর সোনালি মুরগির দাম ছিল ৩৩০ টাকা। রোজা শুরুর আগেও মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল। তখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম উঠেছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় দেশের পোলট্রি খাতের চারটি বড় কোম্পানি রোজা চলাকালে পাইকারিতে ১৯৫ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেয়। এরপরই বাজারে মুরগির দাম কমে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় নেমে আসে।