তথ্য প্রযুক্তি
সম্ভাবনাময় প্রাইভেট রিটেইল টেক কোম্পানি হিসেবে শপআপের নাম ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার, ৫:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৫৯ অপরাহ্ন

বিশ্বের সেরা ১০০ সম্ভাবনাময় প্রাইভেট রিটেইল টেক কোম্পানির একটি হিসেবে শপআপ-এর নাম ঘোষণা করেছে সিবি ইনসাইটস। এই মর্যাদাপূর্ণ বার্ষিক তালিকা সেসব প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়, যারা খুচরা বিক্রেতাদের সংযুক্ত করতে এবং ব্যক্তিগতকরণ অভিজ্ঞতা, পরিচালনা দক্ষতা ও মুনাফা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। এই তালিকায় শপআপ-এর অন্তর্ভুক্তি দেশের রিটেইল মার্কেটকে ডিজিটালকরণ ও আধুনিকরণের প্রচেষ্টার প্রমাণস্বরূপ। প্রতিষ্ঠানটি ছোট-ছোট দোকানের একটি নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে, যা বর্তমানে ২ কোটি মানুষকে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে। শপআপ-এর ডিরেক্টর অব ব্র্যান্ডস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস রাকিবুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববাপি খুচরা বাজার রূপান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হয়ে সিবি ইনসাইটস-এর তালিকাভুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। এই স্বীকৃতি, একটি নির্বিঘ্ন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮ কোটি মানুষকে সেবা প্রদানে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।”শপআপ-এর প্ল্যাটফর্ম ক্ষুদ্র খুচরা বিক্রেতাদের সোর্সিং, ফাইন্যান্সিং ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করে এবং বিভিন্ন মিল এবং প্রস্তুতকারকদেরকে ছোট দোকানের সাথে সংযুক্ত করে ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শপআপ বাংলাদেশের বৃহত্তম ফুল-স্ট্যাক বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যারা ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা ও ভোক্তাদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে থাকে। শপআপ-এর বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম ‘মোকাম’ বিভিন্ন প্রস্তুতকারক, ব্র্যান্ড ও মিলের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ছোট ছোট দোকানে খাদ্য ও গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। বর্তমানে, বাংলাদেশের ২ কোটি মানুষ ‘মোকাম’-এর আওতাধীন দোকানগুলোর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে থাকে। শপআপ দেশের সর্ববৃহৎ লাস্ট-মাইল লজিস্টিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ফুড সাপ্লাই চেইন অবকাঠামোর ঘাটতি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যার কাছে পৌঁছানো এবং একটি নিরবিচ্ছিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের খাদ্য অপচয় রোধ করা শপআপ-এর অন্যতম লক্ষ্য। এপর্যন্ত তারা বিশ্বব্যাপি বিনিয়োগকারীদের থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ লাভ করেছে।