অর্থ-বাণিজ্য
অবশেষে আইএমএফের শর্তে উঠে যাচ্ছে ঋণের ৯ শতাংশ সুদহার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
ব্যাংক ঋণের চলমান ৯ শতাংশ ক্যাপ রয়েছে তা তুলে দিয়ে বাজার ব্যবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। সুদহার তুলে দিয়ে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার (ওয়েটেড) বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি রেফারেন্স রেট নির্ধারণ করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আইএমএফের শর্ত ও ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন এ পদ্ধতি চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাংকার্স মিটিং। এর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায়।
তিনি বলেন, আগামীতে ঋণের সুদহার কত হবে তা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে ঠিক করা হবে। আগামী মুদ্রানীতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ পাবে। আশা করছি আগামী ১লা জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। সুদহার নির্ধারণের নতুন এ পদ্ধতির নাম দেয়া হয়েছে ‘স্মার্ট’ (শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ)। তবে এখনো এ বিষয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে; আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চূড়ান্ত হবে। নতুন এ পদ্ধতি চালু হলে প্রতিমাসেই গ্রাহকের ঋণের সুদহারে পরিবর্তন আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই ছয় মাসের গড় সুদহার দেখে একটি রেফারেন্স রেট ঘোষণা করা হবে, যা হবে বাজারভিত্তিক। যদি দেখা যায় গড় সুদহার এক শতাংশ বা বা নিম্নমুখী হয়েছে বা এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে যা বাজারমুখী না, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার বুঝে সুদহার নির্ধারণ করে রেফারেন্স রেট জানিয়ে দিবে।
এ ছাড়া তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া রেফারেন্স রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুদ নিতে পারবে। অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স রেটে ঋণ দিতে পারবে। এ ছাড়া সভায় আগামী মুদ্রানীতি, সুদহার, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের মূল্য হার, ডলারের বিনিময় হার, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও ক্যাশলেস বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অপরদিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের(এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনের নেতৃত্বে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।