রাজনীতি
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও শহীদদের তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা: গণঅধিকার পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ৩:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি তাদের কোন সম্মান নেই। যদি থাকতো তবে শহীদের তালিকা তৈরি করতো। রোববার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একক নেতৃত্বের কথা বলে, অন্যদের ত্যাগ স্বীকার করে না। এখনো পর্যন্ত ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ হলো শহীদের তালিকা তৈরি করতে না পারা। তিনি বলেন, প্রশাসনকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটচুরির সংবাদ আজ বিশ্ব গণমাধ্যমে পর্যন্ত আসে। যা আমাদের মাথা নত করে দেয়। তিনি বলেন, সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে খাতা কলমে স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পাইনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। যার ছিটেফোঁটাও আজকের এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো। আমরা গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করবো। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে গণঅধিকার পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।
যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, নিরবে ভোট ও ভাতের অধিকার বিলিয়ে দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকলে বন্দী এই জাতি। গণ অধিকার পরিষদ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকল ভেঙে এই জাতিকে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ ফিরিয়ে দিবে-স্বাধীনতা দিবসে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
পাঠকের মতামত
এই লিস্ট কেউ করবে না।
এই তালিকা টা হলে জাতি একটা দায় থেকে মুক্ত হত। যে যার মনের মাধুরী মিশিয়ে শহিদের যে সংখ্যা বলে বেড়ায় তাও বন্ধ হত। সত্যিকারে শহিদের পরিবার গুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সামাজিকভাবে আর্থিকভাবে সাহায্য করা যেত। এখন তো যা দেখছি ৭১ এর অনধিক একলক্ষ মুক্তি যোদধারা হয় পরেছে কয়েকলক্ষ বীর মুক্তিযোদধ্যা। এরা দেখি আবার অনেকে বীর না বললে খুবই গোস্যা করেন। একটা সত্য গল্প বলছি। আমাদের মহললায় সথানীয় এক পরিবারের বখে যাওয়া একটি ১৯/২০ বৎসরের তরুন ছিল। ৭১ এর পুরোটা সময় মোটামুটি আমাদের নজরেই ছিল। যদিও তার পরিবারের ভলোভাবে খাওয়াপড়ার সংগতি ছিল। এমনিতে সে বিনয়ি ছিল, কিনতু তার বদভ্যাস ছিল পাড়ার বিভিন্ন বাসায় চুরি করে সেগুলো অনত্র বিক্রী করা। এগুলো অনেকেই জানতেন কিনতু প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস পেতেন না। যাই হোক ৭১ পরবরতি ৭২, ৭৩ সালে তাকে দেখলাম সে মুক্তিযোদধা হয়ে গেছে, কোনভাবে একসময় সে মুকতিযোদধা সংসদের কোন এক পর্যায়ের নেতাও বনে যায়। পত্রিকাতেও তা ছবি ছাপা হয়েছিল। এখনতো পুরাই বীর মুকতিযোদধ্যা। তাই এখন মনে হয় এসব বীরদের তালিকা না করে শহিদের তালিকা করাটাই ভালো ছিল তাতে করে এই বীরে খামাখাদের বীর হওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি কমতো আমরা শহিদ পরিবার গুলোর দিকে ফোকাস বাড়াতে পারতাম।
They don't want to make list of sahid who were mostly non-leaguer and non-fighter.
এই দুনিয়ার সবথেকে সফল রাজনৈতিক দল হল গন অধিকার পরিসদ।
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
