ঢাকা, ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

রাজনীতি

গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব: ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

(২ মাস আগে) ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশে 'গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য' বিএনপি সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ থেকে ৫১ বছর আগে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। আমরা যখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যেম স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল, আশা আকাক্সক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আজকে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার আজকে হারিয়ে গেছে, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। দেশে প্রকৃতপক্ষে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে¡। আজকে বাংলাদেশের কী দুর্ভাগ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, যিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, তাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লক্ষের বেশি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মহান দিনে স্বাধীনতার শুভলগ্নে শপথ গ্রহণ করছি-বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, মানুষের দুঃখ-কষ্ট, চাল-তেল-ডালের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য এবং সত্যিকার অর্থে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবার জন্য আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি সে সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাব।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

 

বিজ্ঞাপন

পাঠকের মতামত

জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন এবং দেশবাসীকে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে আহ্বান জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। যদিও ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয় এবং সরকারি চারটি সংবাদ পত্র ছাড়া বাকি সবগুলো সংবাদ পত্র নিষিদ্ধ করা হয়। গনতন্ত্র বাক স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার হোঁচট খেয়ে পড়ে। সিপাহি জনতার সংহতির ফলে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন তিনি আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন এবং বহুদলীয় গনতন্ত্রের ধারা প্রবর্তন করেন। তখন আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতির সুযোগ লাভ করে। সেই হিসেবে সকল হীনমন্যতার ঊর্ধ্বে ওঠে বলা যায় জিয়াউর রহমান গনতন্ত্রের যে সেতু নির্মাণ করেছেন তার ওপর দিয়েই আওয়ামী লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দলের চলাচল। এরপর স্বৈরাচার এরশাদ আবার গনতন্ত্র হত্যা করে জাতির ওপর সামরিক শাসন চাপিয়ে দেয়। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর আপোষহীন ভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আবার গনতন্ত্র মুক্ত করেন এবং সংসদীয় গনতন্ত্রের ধারা চালু করেন এবং নির্বাচন কালীন দল নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সেই নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর সেই বিধান বাতিল করে আজ অবধি তাঁরা বলা যায় জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় টিকে আছে। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপিকে আবারও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ এবং পুনরুদ্ধার করে বিএনপি এটাই বাস্তবতা। গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রাম অতীতের চেয়ে ভিন্নতর বিএনপিকে তা বুঝতে হবে। নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসবে ততোই গুজব ছড়ানো হবে। দলের ভেতরের সুবিধাবাদীদের দিয়ে ছোবল মারা হবে। চীন, ভারত ও রাশিয়া চক্রের চক্রান্ত চলবে। বিদেশীদের ভুল বুঝানো হবে। দেশের মানুষকে, দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করা হবে। নতুন নতুন হামলা, মামলা দিয়ে নাস্তানাবুদ করা হবে। অপবাদ দিয়ে অপদস্ত করা হবে। নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হবে এবং বিএনপিকে ওইসব নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে গনতান্ত্রিক অধিকার আদায় করে নিতে হবে। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার, গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির দায়িত্ব এবং কর্তব্য। বিএনপির নেতাকর্মীদের বুঝতে হবে শুধুমাত্র এই একটি কারণেই তাঁদের আপোষহীন নেত্রী, গনতন্ত্রের অবিসংবাদিত নেত্রী আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাঁর সঙ্গে যে নির্মম আচরণ করা হয়েছে দেশের নির্যাতিত মানুষের দোয়ার বরকতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর হায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সুতরাং, কোনো কিছুর সাথে আপোষ না করে শহীদ জিয়াউর রহমানের এবং বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

আবুল কাসেম
২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১:১২ পূর্বাহ্ন

সংগ্রাম চালিয়ে শহীদ হয়ে যেতে পারবেন। কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবেন না ।

Md Emdadul Hoque
২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

ওবায়দুল কাদেরের ভাইরাল ডায়লগ "জামানত বাজেয়াপ্তের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়না ।” মনে হয় ," আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্ল্যান বিএনপি আগে ভাগে বুঝে গেছে।" আমার মনে হয় ওবায়দুল কাদেরের চাওয়া শুধু নির্বাচনে হারানো নয় , বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনে জমা থাকা নমিনেশনের শেষ কড়িটাও কেড়ে নেওয়া। ওবায়দুল কাদের জানেন নির্বাচন কমিশনের কাছে তার "বিএনপির জামানত বাজেয়াপ্তর আব্দার " ছেলের হাতের মোয়া চাওয়ার মত সস্তা জিনিস। তার না হলে কার আবদারে , ১৯৯১ এর পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর দ্বিগুন ভোটে জিতে আসা লক্ষীপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, নাম-গোত্রহীন পপুলের মত একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে? সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়: ১৭,১৮,৬৮,৮০ এবং ১১০ নং সেন্টারে বিএনপি কোন ভোট পায়নি। এই ৫ টি সেন্টারের মোট বৈধ কাস্ট ১১০১৬ টি ভোটের মধ্যে শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) ১১০০১ টি ভোট পায় আর বিএনপির প্রাক্তন এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া পান ০ (শূন্য ) ভোট !! সেন্টার ৫ টির টোটাল দেয়া হলো : মোট ভোট কাস্ট :11050, ,মোট বৈধ ভোট: 11016, , শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) : ১১০০১ , ,আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP):0 , , (৪জন স্বতন্ত্র + JP প্রার্থীর ভোট ): ১৫ , ,মোট নষ্ট ভোট : 34, ,শতকরা হার : 71%-98% , বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মত তাদের ভোটগুলো ভোট দিতে আসেনি ? ৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না শুধু থাকলো বিএনপির ভোটার ??? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ?? নাকি একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ? ৪জন স্বতন্ত্র আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন ১৫টি : তাহলে বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? হিসাব মিলতেছেনা . গোজা মিলেরও মিল থাকে . নির্বাচনের এই রিজাল্ট কোন হিসাবেই কভার করতেছেনা. এমনকি নির্বাচনে পপুলুর জন্য জাল ভোট বৈধ করে দিলেও তার পক্ষে ৫ টি সেন্টারে ৩০০০ ভোটও কালেক্ট করা সম্ভব হবেনা , তার না আছে নাম , না আছে পরিচিতি , না আছে পারিবারিক ঐতিহ্য , না আছে কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট . তার থরে থরে গাদ্দি গাদ্দি ভোট পাওয়ার চাঞ্জল্যকর তথ্য দেখে অনুমান করা যায় এ সব সেন্টারে কোন ধরনের ভোট বা সিল চাপ্পরের ঝামেলায় না গিয়ে রিজাল্ট শিট তৈরী করা হয়েছে . এক সময় মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেট( মার্কশীটে বিরাট বিরাট মার্ক দেখিয়ে) বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কাছ থেকে লোকজন কিনে আনতো বিদেশ যাওয়ার জন্য । কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিজাল্ট শীটও যে কিনতে পাওয়া যায় তা এই শীট দেখার আগে আমাদের জানা ছিলোনা !

shamim chowdhury
২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১১:২৫ অপরাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status