রাজনীতি
কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণ দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের
অনলাইন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস নুরুদ্দিন অপুর পক্ষে আইনি লড়াই করায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা। এসময় বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের সাবেক এপিএস নুরুদ্দিনের পক্ষে কোন আওয়ামী লীগ নেতার আইনি লড়াই কাম্য নয়। এ কারণে কামরুল ইসলাম দলে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির পক্ষে লড়াই করা মানে মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করা। অবিলম্বে কামরুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা।
উল্লেখ্য, অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় আপিল বিভাগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) আসামি নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ বিতর্কের জন্ম দেয়। এ বিষয়ে আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, মামলার নথিপত্রে আসামি যে তারেক রহমানের সাবেক এপিএস সেটা লিখা ছিল না। আমি না জেনে এই মামলার শুনানি করেছি। জানলে কখনও এই মামলায় শুনানি করতাম না।
।পাঠকের মতামত
নথিতে লেখা ছিলোনা বলে উনি জানতেন না যে এই অপু তারেক রহমানের সাবেক এপিএস, এটি ডাহা মিথ্যা কথা। যে কোন উকিলই তার মক্কেলের background সম্পর্কে নূন্যতম তথ্য হলেও নিয়ে থাকেন । সেটা তিনি নেননি এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর যদি উনি সত্যিই না নিয়ে থাকেন , তাহলে উনার আইনজীবীর সনদ বাতিল করা উচিত।
কামরুল ইসলাম সাহেবকে একটা প্রশ্ন করতে চাই সাবেক পদবি লিখা কি বাধ্যতা মূলক। আমাদের দেশে সাবেক, অবসরপ্রাপ্ত লিখার ছড়াছড়ি, এটা লিখে কি লাভ শুধু ফায়দা লোটা ছাড়া। আমি মনে করি সাবেক পদবী যারা লিখেন তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়াই উচিৎ না।সাবেক কোন পদবী না অতএব এটা লিখা গুরুত্বহীন।
হায়রে বাঙালী। যেদিন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, বাঘা বাঘা আওয়ামী লীগ নেতারা পিঠটান দিয়েছিল সেদিন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ আর এই কামরুল ইসলামরাই তাঁর পক্ষে লড়েছিল। টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজে অনেক মঞ্চ করে অনেক গল্প দেওয়া যায়। এসরকারের আমলের আগে এসব মঞ্চ কোথায় ছিল?
এতদিন পরে হুঁশ হলো যে? মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় নেজামে ইসলাম পার্টির মুখপত্রের প্রেস ম্যানেজারগিরি করেছে, এখন সেটা আড়াল করতে বলে সে নাকি মুজিব বাহিনীর পয়লা ব্যাচের ট্রেইনি, জেনেশুনে এমন লোককে যদি দলের নেতা বানানো যায়, তবে ভাড়ায় উকিলগিরি করলেই সমস্যা কোথায়? এই বহিষ্কার দাবির পেছনের আসল কারণটা কী? আর কেই বা পেছন থেকে খেলাচ্ছে?
বিএনপির সংগে তাদের আত্মীয়তা করাও হারাম এমন ফতোয়া আসতে শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
