বিশ্বজমিন
রণক্ষেত্র ইসলামাবাদের আদালত, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল, ইমরানের পরবর্তী শুনানি ৩০ মার্চ
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ১৯ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৭ পূর্বাহ্ন

কয়েক ঘন্টার জন্য রণক্ষেত্র। বিশৃঙ্খল এক অবস্থা পাকিস্তানে। তার মধ্যে আটকা পড়ে থাকলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি শনিবার তোষাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে দিনভর রাজনীতির কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। আদালতের কাছাকাছি পৌঁছার পর এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে আদালত প্রাঙ্গণ কার্যক্রম চালানোর পরিবেশ হারিয়ে ফেলে।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ দাবি করছে ইমরান খানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য এফ-৮ কোর্ট কমপ্লেক্স থেকে জি-১১ এর জুডিশিয়াল কমপেক্সে শুনানির জন্য স্থান নির্ধারণ করেন ইসলামাবাদের মুখ্য কমিশনার নূরুল আমিন মেঙ্গল। ইমরান খান সেখানে আসার আগে থেকেই চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। আগের মাসে এমনই এক প্রেক্ষাপটে সেখানে এক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তেমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেই সতর্ক অবস্থায় ছিল প্রশাসন। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি তেমনই হয়ে ওঠে। পিটিআই কর্মীরা আকস্মিকভাবে ফেডারেল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে ফেলে। ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এর ফলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তা ছড়িয়ে পড়ে আদালতকক্ষেও, যেখানে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
দ্বিতীয়বারের মতো পিটিআই কর্মীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ইমরান খানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এর ফলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাতে শুনানিতে উপস্থিত হতে পারেননি ইমরান। এক পর্যায়ে আদালত তাকে তার গাড়ির ভিতর থেকেই উপস্থিতি নিশ্চিত করার অনুমোদন দেন।
স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল ইমরানের। কিন্তু তিনি লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে বের হয়ে আদালত পর্যন্ত আসতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় চলে যায়। তারপর তিনি পৌঁছেন ইসলামাবাদে। সেখানে সংঘর্ষের কারণে তিনি আদালত চত্বর ছাড়তে বাধ্য হন। এর আগে তিনি সতর্ক করেছিলেন, নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নেই। নেতাকর্মী, জনতা তার কথা শুনছে না। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।