প্রথম পাতা
কামরুল ইসলাম আইনি লড়াই করতে পারতেন তবে...
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবারআওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের আদালতে একটি শুনানি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আর সেটা হচ্ছে নৈতিকতার। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে আদালতে লড়তে গিয়েই যত ঝামেলা। নৈতিকতার প্রশ্নে আইনজীবীরা বিভক্ত। দুদকের আইনজীবীও একই মত দিয়েছেন।
কেন এই প্রশ্ন? আইনজীবী হিসেবে তিনি তো কোনো মক্কেলের পক্ষে লড়তেই পারেন। যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য সে কারণে অনেকেই এর বিরোধিতা করছেন। দল যেহেতু ক্ষমতায় সে কারণে নৈতিকতার প্রশ্নটা সামনে এসেছে। এই প্রশ্ন উঠতে পারে ভেবেই নব্বই দশকে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য সিরাজুল হক পদত্যাগ করে এরশাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি ইচ্ছা করলে পদত্যাগ না করেও এরশাদের পক্ষে দাঁড়াতে পারতাম। কারণ আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতায় ছিল না।
উল্লেখ্য যে, আইনি সহায়তার জন্য সিরাজুল হক দলীয় পদ ছেড়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজির স্থাপন করেছিলেন। সিরাজুল হক হচ্ছেন বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা। এডভোকেট কামরুল ইসলাম ইচ্ছা করলে দলীয় পদ ছেড়ে নজির স্থাপন করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছেন। বলছেন, নুরউদ্দিন আহমেদ অপু যে তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন তা তিনি জানতেন না। মামলার কোথাও সেটা লেখা ছিল না। তার এক জুনিয়রের আপন ভাইয়ের মামলা, সেই হিসেবে তিনি শুনানি করেছেন।
যদিও তার এই যুক্তি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপু তাকে জেনেশুনেই আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। তাতো কামরুল ইসলামের অজানা থাকার কথা নয়। তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রচুর ফি পেয়েছি, এ জন্য আসামির পক্ষে কয়েকদিন শুনানি করেছি।