রাজনীতি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০০ অপরাহ্ন

ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। দিয়েছেন বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে নাকি আসছে- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি পরিষ্কার বলতে চাই- আমি জানতে পেরেছি- বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনো আসে নাই। আমাদের মতামত দেয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে যে তথ্য দেয়া হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা ও অসত্য। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন অভিমত দেয়া ছাড়াই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যেসব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কোন আপত্তি নেই সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। এটা এখন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কতজনকে আনবে, কতজনকে আনবে না। আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোন আপত্তি করবে না।
এদিকে গত ৬ই মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। চলতি মাসের ২৪ তারিখ বর্তমান মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
এর আগে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, পরিবারের আবেদন পেলে তারা তা বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর ছয় বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪শে মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
পাঠকের মতামত
খালেদা জিয়া একমাত্র নেতা যিনি পরম সুখে আছেন। বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এত সুযোগ সুবিধা পায় বলে আমাদের জানা নেই। পাশের দেশ ভারতেই দেখুন সন্জয় দত্ত থেকে লালু প্রসাদ এবং আরো রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পূর্ণ মেয়াদে জেল খেটে তবে বের হয়েছে। খালেদা জিয়ার অভিব্যক্তিতে কখনো বুঝা যায়নি ওনার দেশের জন্য কোন চিন্তা আছে। শুধু নিজের সুখের চিন্তা ছাড়া। ওনি যদি সত্যিকার দেশপ্রেমিক হতেন তাহলে শেখ হাসিনার করুনা নিয়ে এভাবে বেঁচে থাকতেন না। দরকার হলে কারা বরণ করে দেশের জন্য আত্নত্যাগ করতেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিকার নেতাদের জীবন কাহিনিতে আমরা তাই দেখেছি।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত হলে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন বিদেশে চিকিৎসা নিতে জান কেনো? ওকা সাহেবতো কয়দিন আগেও সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসলেন। ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতাসীনদের নিজেদের দেশের শিক্ষা চিকিৎসার প্রতি আস্থা নেই। তাহলে উনারা এতদিন কিসের উন্নয়ন করেছেন? এখন আবার নতুন শব্দ নিয়ে আসছে স্মার্ট। জনগণকে ধোঁকা দেয়ার নতুন ফন্দি। দায়িত্বশীলদের দেশের বাহিরে সেবা নেয়া বন্ধ করে দিলে তখন দেশের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
যে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তা মানবিক না চাতুরতা?
পুরোপুরি মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেয়া কি ঠিক হবে? আমার প্রশ্ন এতোদিন কেন দেয়া হল না? আমলীগের সরকারের তেনা ফেনাও তো দেখি দুইবার হাঁচি দিলে বিশেষ বিমানে সরকারী খরচে সিংগাপুর কিমবা পাতায়া যেয়ে হিসটাসিন ট্যাবলেট খেয়ে সিবীচে হাটাহটি করে বিশেষ বিনোদন এবং সুসাস্থ্য লাভ করে দেশে ফিরে আবারো দেশের সেবায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। অন্যদিকে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের বিরোধী দলের চেয়ারম্যান যাকে ১/১১ এর ত্বতাবধায়ক সরকারের জেল জুলুম দিয়েও দেশ ত্যাগ করানো যায়নি তাকে বিদেশে শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্যেও যেতে দেয়া হয়নি। অন্য দিকে আদালত কতৃক সিকৃতিপ্রাপত দাগী অপরাধী তালা হাজী ওরফে হাজী সেলিমকে সরকার কি বিবেচনায় লাগাতার দেশের পাঁচতারকা পিজি হোটেলে থাকার এবং দেশের বাইরে সুচিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয় তা আমার বোধগম্য নয়। এই দেশ বড়ই বিচিত্র। দেশের একসময়কার চাকুরীরত পুলিশ প্রধানকে দেখেছি খুনী ফাঁসীর দন্ডপ্রাপত আসামী বাংলাদেশের প্রেসিডেনটের কাছ থেকে গোপনে ক্ষমাপ্রাপতের সাথে বসে খোশগলপে মশগুল। আমরা বুঝতেই পারিনা যে ওরা আমাদের জনগনকে চতুষ্পদ জন্তু জ্ঞান করে মসকরা করে। আরও কত কি যে সামনে দেখতে হবে আল্লাহই জানেন।
সরকার কি তবে সত্যি সত্যিই চাপে পড়লো, নাকি অন্য কোন নাটক মঞ্চায়িত শুরু?