রাজনীতি
অতীতের মতো নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান: সরকারকে গয়েশ্বর
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ১:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

দেশে অতীতের মতো একতরফা নির্বাচন করার স্বপ্ন সরকারকে ভুলে যেতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দুর্ভিক্ষ, দুঃশাসন আর ভোটচুরি, জনগণের অর্থ লুটপাটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকার বাসনা পরিত্যাগ করুন। উন্নয়ন করেছেন আস্থা নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণ যদি আবার আপনাকে লুটপাট করার জন্য নির্বাচিত করে আমরা বাধা দেবো না।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন করার সামর্থ্য আপনার (শেখ হাসিনা) নাই-এটা পরিষ্কার। বিএনপিকে ২০১৮ সালে নির্বাচনে নেয়া যত সহজ হয়েছিলো, এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব। এই অসম্ভব কাজটা আপনি সম্ভব করতে যাইয়েন না তাতে জটিলতা বাড়বে।
তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) বিএনপি থেকে কাউকে ভাগাইয়া নেবেন ওটাই বোধহয় সম্ভব না। কারণ যে নৌকার তলা ফাটা আছে, সেই নৌকার তলায় কেউ উঠবে না ডুবে মরার জন্য। আর যে নদীতে পানি নাই সেই নদীতে মানুষ কিন্তু ঝাঁপ দেয় না। এখন মানুষ বলে আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।
২০১৮ সালের নির্বানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আসলে তো মানুষ নৌকায় চড়ে নাই।
তিনি আরো বলেন, আবার বলছি, বাংলাদেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিকে রেখে বাংলাদেশের জনগন ভোট কেন্দ্রে যাবে না, কোনো রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করবে না এবং সেই ভোট হতে পারবে না। আর যদি প্রচুর দালাল-টালাল যোগাড় করে থাকেন সেই দালালদের পাহারা দিয়ে রাখতে পারবে কিনা জনগণের রোষানলের হাত থেকে সেই ব্যাপারে কিন্তু শতভাগ সন্দেহ আছে। তাই বলব, সময়মতো পদত্যাগ করুন। একটি নির্বাচনে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে, সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’৭১ এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সুপসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আসাদুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আহমেদ শাহিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
Awami League is buying and selling its opponents many times at the same port. Weather and how the opponents will participate in the next general election will be decided by Awami League.
সাদেক মার্কা ১৯৯৬ সালের নির্বাচন আর ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত নির্বাচন কিছুটা মিল আছে ঐ দুই নির্বাচন কাটাকাটি করার পর যেটা থাকে সেটা ২০১৮ এর রাতের বেলার নির্বাচন। আপনারা যদি ২০১৪ আর ২০১৮ এর তথাকথিত নির্বাচন করে বড় গলায় কথা বলতে পারেন তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বানানোর আপনাদের দাবী বস্তবায়নের জন্য ১৯৯৬ সালের যে ভোটার বিহীন নির্বাচন হয়েছে তারপরে তারা বড় গলায় কথা বলতেই পারে Tulip
হক কথা। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী সাদেক্যা মারকা নিরবাচন করে আবার লম্বা লম্বা কথা বলে। এদের কি লজ্জা শরম হায়া পরদা কিছুই নাই? বেহায়া রাজনীতিক। আবার টুপি মাথায়। এদের দেখে কেউ কেউ আবার আপ্লূত হচ্ছে।
They will definitely invent a new Technique to make fool the country-men.