ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

‘সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসে সংসদ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখা জরুরি’

স্টাফ রিপোর্টার
২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসে সংসদ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখা জরুরি বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও জনগণের কাছে যেহেতু গণমাধ্যমই দ্রুততম সময়ে পৌঁছে তাই আইনটির পক্ষে জনমত প্রভাবিত করতে তাদেরই সক্রিয় অবস্থান নিতে হবে বলে তারা মনে করেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ)-এর উদ্যোগে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে গণমাধ্যমের কাছে প্রত্যাশা” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার আলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে ডরপ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ এর সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের  প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি  বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এন. আই. ভূঁইয়া, ডরপ-এর গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব, ডরপ-এর নির্বাহী উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসে সংসদ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখা জরুরি।

বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও জনগণের কাছে যেহেতু গণমাধ্যমই দ্রুততম সময়ে পৌঁছে তাই আইনটির পক্ষে জনমত প্রভাবিত করতে তাদেরই সক্রিয় অবস্থান নিতে হবে।  সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডরপ একটি উপস্থাপনা তুলে ধরে। উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয় যে, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী তামাক পণ্য ব্যবহারকারীর হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। পরোক্ষ ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ।  ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০ দশমিক ৬ শতাংশ। তামাক ব্যবহারের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য (২০১৮) অনুযায়ী দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিদিন প্রায় ৪৪৪ জন মানুষ মারা যায়। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী তথা এফসিটিসি-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status