ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন

mzamin

চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯.২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ইতিহাসে পুরো অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে এত পরিমাণ ডলার বিক্রি হয়নি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭.৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশের মধ্যে ডলারের তীব্র সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ডলারের এ সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও আটকে থাকছে কোটি কোটি টাকার পণ্য। 

ডলার সংকটে আমদানিকারকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না অধিকাংশ ব্যাংক। এসব সমস্যার সমাধান দিতে অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে ডলার সহায়তা দেয়ার কারণে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে।

বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে। ফলে দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে অবস্থান করছে।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসের এলসির তথ্য বিষয়ে মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন মতো এসব পণ্যে এলসি খোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গগণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি রমজান মাসে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, পিয়াজ ও ছোলার কোনো ঘাটতি হবে না। গত বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) ৫ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ টন চিনির এলসি খোলা হয়েছিল। চলতি বছর একই মাসে চিনির এলসি খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন। এ বছর জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন তেলের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত ২০২২ সালের জানুয়ারিতে খোলা হয়েছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ টন। চলতি বছর জানুয়ারিতে পিয়াজের এলসি খোলা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ টন, যা গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২২৫ টন। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছোলার এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ টন। গত বছরের একই সময়ে ছোলার এলসি খোলা হয়েছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খেজুর আমদানিতে ২৯ হাজার ৪৮১ টন এলসি খোলা হয়েছিল, যা গত বছরের জানুয়ারি মাসে খোলা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৯৮ টন। আসন্ন রোজার আগেই আমাদের এসব পণ্য চলে আসবে। এজন্য কোনো নীতিসহায়তার প্রয়োজন হলে সেটাও দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে সংকট দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে মেজবাউল হক বলেন, শিল্পের কাঁচামাল আমদানিও হচ্ছে প্রয়োজনমতো। গত নভেম্বর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার করে রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানির মিলে ৪৪ বিলিয়ন আয় হয়েছে আর এলসিতে আমদানির দায় পরিশোধ হয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। আমাদের এক্সপোর্ট বা রপ্তানিতে মিসম্যাস আছে, যেটা ১৮০ দিনে আয় আসে তখন সমন্বয় হয়।
ডলার সংকট নিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে সংকট মোকাবিলায় ৯.২ বিলিয়ন বা ৯২০ কোটি ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। আমাদের ব্যবস্থাপনার নিজস্ব পদ্ধতিতে শুধু ডলার না স্থানীয় মুদ্রার বিষয়ও দেখা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন ও কোভিড-১৯ এর কারণে একসময় তারল্য তৈরি হয়েছিল, সে সংকটও দূর হয়েছে।
 

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status