বিশ্বজমিন
ক্রাইমিয়া কখনও আর ইউক্রেনের অংশ হবে না: ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনকে এভাবে ভয়াবহ মারণাস্ত্র সরবরাহ করায় ন্যাটোর নিন্দা জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। তিনি বলেন, এভাবে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি ‘অত্যন্ত অনৈতিক’ এবং এটি শুধুমাত্র সংঘাত বৃদ্ধিতেই ভূমিকা রাখবে। এতে যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এ খবর দিয়েছে আরটি।
ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ। এসময় তিনি বলেন, আমি ইউক্রেনে যে কোনো ধরণের মারণাস্ত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে। এটি শুধুমাত্র যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। এর উদ্দেশ্য কি? রাশিয়াকে ধ্বংস করা? নাকি তাদের সরকার পরিবর্তন? তারা এখন রাশিয়াকে বিভক্ত করে ফেলার কথা বলছে। এটা পুরোপুরি পাগলামি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার দখল করা বিশাল ভূমি ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ক্রাইমিয়াকেও আবার ইউক্রেনের অংশ করা হবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দয়া করে বুঝার চেষ্টা করুন যে রাশিয়া কিন্তু সার্বিয়া নয়। সার্বিয়ার থেকে কসোভোকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। আমরা কি সেটা করিনি? আমরা কি কসোভোকে স্বীকৃতি দেইনি? তিনি ইঙ্গিত দেন, রাশিয়াকে ভাঙার চেষ্টা করলে সার্বিয়ার মতো তারা সেটা মেনে নেবে না। এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও বৃটেন। ফলে ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলিও এখন ইউক্রেনে শত শত আধুনিক ট্যাংক পাঠাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মস্কো সাবধান করে দিয়ে বলেছে, পশ্চিমা ট্যাংক ইউক্রেনে প্রবেশ করলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে যদি রাশিয়ার শহরে কোনো হামলা হয় তাহলে তার পরিনাম ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
তবে দ্বিধাগ্রস্থ অবস্থায় মাসের পর মাস পাড় হলেও শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ট্যাংক দিতে সম্মত হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এসব ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।