অনলাইন
ভাড়া নিয়ে বাড়ি দখল করে নিলেন মহিলা লীগ নেত্রী মিতু
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
(১ মাস আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাসের এক পর্যায়ে সেই বাড়ি দখল করে নিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা মহিলা লীগের সদস্য মমতাজ জাহান মিতু। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাড়ি কেনার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেছেন বলে ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রকৃত মালিক ইসহাক। অভিযুক্ত নেত্রী ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের ধামদী এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার ধামদী গ্রামের বাড়ির মালিক ইসহাক মিয়া ২০১৮ সালে একই গ্রামের মমতাজ জাহান মিতুর কাছে বাড়িভাড়া দেন। এদিকে ভাড়াটিয়া মমতাজ জাহান মিতু বাড়িতে অনৈতিক কাজ করছে এমন কর্মকাণ্ড দেখে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন মালিক ইসহাক মিয়া। সেইসঙ্গে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করার জন্য বলা হয় ভাড়াটিয়াকে। কিন্তু মালিকের এমন নির্দেশ কর্ণপাত করেননি ভাড়াটিয়া মিতু। বরং উল্টো বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন ইসহাক মিয়া ও তার ছেলে রুবেল মিয়াকে। এমন অবস্থায় সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে মালিক ইসহাক বাড়ি ছাড়ার জন্য ভাড়াটিয়ার নিকট লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তারপরেও বাড়ি ছাড়েননি ভাড়াটিয়া মিতু। বরং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাসা কেনার নকল কাগজপত্র তৈরি করে বাড়ি ক্রয় করেছে বলে মালিকানা দাবি করে বসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথা বলে অনৈতিক ব্যবসার পাশাপাশি মিতু তার এলাকায় গড়ে তুলেছেন রাজত্ব। সুন্দরী হওয়ায় বন্ধুত্বের ছলে সমাজের টাকাওয়ালা মানুষকে টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইলে করে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা ও জমি। যদি এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তার হাতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। তাই হয়রানির ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেন না বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও নানা কারণে এবং প্রতারণা করে এপর্যন্ত অসংখ্য বিয়ে করেছেন মিতু।
এদিকে ওই নেত্রী হয়রানির থেকে বাদ যায়নি তার নিজের পিতাও। টাকা ও জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলা করার ঘটনাও ঘটিয়েছেন মিতু। এর আগেও তার বিরুদ্ধে জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ান তিনি। পরে শেষ পর্যন্ত দখলকৃত জমি ছাড়তে বাধ্য হন মিতু।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলা লীগ নেত্রী মিতু বলেন, এই বাড়িটা সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু ইসহাক মিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই বাড়িটি আমার কাছে বিক্রি করেছে। এর বায়না দলিলও আছে।
বাড়ির মালিক ইসহাক মিয়া বলেন, আমার বাড়ি ভাড়া নেয় মিতু। পরে যখন বাড়ি ছেড়ে দিতে বলা হয় তখন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। বর্তমানে সেই মামলায় আমার ছেলে জেল খাটছে। বাড়ি দখল করতেই আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে মিতু। ভুয়া কাগজপত্র ও বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে বাড়ি দখল করে নেয় সে। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও আমরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আমার আকুতি।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছাত্তার কমান্ডার বলেন, মালিক ইসহাকের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিজেই মালিক বলে দাবি করছেন মিতু। এমন মিথ্যা দাবির পর বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এটি স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছি। অচিরেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত
আওয়ামী বাংলাদেশটা জোর পূর্বক দখল করে আছে। বাসাটা দখল করা অদের জন্য কোনো সমস্যা নেই।
মমতাজ জাহান মিতু পারেনা এমন কোনও কাজ নেই। এমনকি নিজের শিশুর বদনাম করাতেও দ্বিধা বোধ করেনি। তার রুপ যতদিন আছে, ততদিন তাকে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখা নামুমকিন। তুম ন্যাহি তো আউর স্যাহি। তার নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনৈতিক কাজের জন্য, রুপের মোহে কেউ না কেউ অবশ্যই এগিয়ে আসবে তাকে সাহায্যে
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
মতামত প্রদানকারী জনাব মিলন আজাদ আপনি কি জানেন মামলার পরিনতি কি? কত বৎসর লাগে এর সূরাহা হতে, কত টাকা খরচ হয় কত রকমের হয়রানি হতে হয় মামলায় কিভাবে একটা ফ্যামিলিকে নিস্ব করে দেয়। নিজের সম্পত্তিকে অন্য লোক কেন দাবী করবে । স্হানীয় প্রশাসন আছে কিসের জন্য। আর আদালত স্ব প্রনোদিত হয়ে তলব করতে পারে । আর ঘটনা যদি সত্যিই হয় তা’হলে আইনের মাধ্যমে এই ধরনের বাজে লোকদের চীর তরে ভ্যানিষ করে দেয়া উচিত ।
Every thing is possible in bangladesh if the person is aowamilig or connected by the aowamilg, for them administration, law & order is nonfunctional ,we people see & cry hard....
আওয়ামিলীগের কাছ থেকে এই জাতি শুধু জুলুম দখল ছারা আর কিসুই পাইনাই। যতদিন আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এইরকম দমন পীড়ন চলবে। গোটা বাংলাদেশটা শেখ মুজিবের কেনা সম্পত্তি। আমরা নাগরিকরা বাংলাদেশে যাযাবরের মত বাস করি। এক্ষেত্রে ন্যায় বিচার আশা করছি। যদিও সম্ভাবনা খুব কম !!!!!
সাবধান! ভাড়া দেওয়ার আগেই জেনে নিন, মহিলা লীগের সদস্য নয়তো!!!
দল ক্ষমতায় আছে কীসের জন্য? লুটে না নিলে, দখল না করলে কে করবে? তাদের রাজনীতিটাই ভোগের।
মহিলা লীগ নেত্রী মিতুকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির কেন করা হবে না?
বিএনপি জামাতের কর্মী ছিল ঐ বাড়িওয়ালা। ওর কাছ থেকে বাড়ি দখল করে লীগ নেত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো সমুন্নত করেছেন বলে মনে করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Same thing happen in our ward. One of the awami member take control a 5 stored building in our area almost same way.
পুরাই 420 নাটকের কপি! বাহ আম্লীগ বাহ!! নিজের 6 বছরের নিস্পাপ মেয়েকেও ধর্ষিতা বানিয়ে দেয়!! আম্লীগরা আসলেই মানুষ না।
এখানে বাড়ীর মালিকও দায়ী আছে মনে হয়, বাড়ীর মালিক আগে থানা পুলিশের কাছে যায়নি যদি যেয়েও থাকেন তাহলে প্রতিকার না পেয়ে থাকলে আদালতে যাওয়া উচিৎ ছিলো। তাহলে একটা প্রমাণ থাকতো উনি বিচার চেয়েও বিচার পাননি। উনি বিক্রি করে না থাকলে মামলা করতে পারেন, কারণ বিষয়টি এখন আদালতের কাছে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। বাড়ির মালিককে অনুরোধ করছি আপনি আদালতের শরণাপন্ন হউন।
আওয়ামী লীগের বদনাম কুড়ানো মহিলা লীগ নেতৃকে দল থেকে বহিষ্কার করলেই তার সব কুকর্ম বন্ধ হবে । দলের দুর্নাম বন্ধ হবে । বাকি দলের মর্জি ও সিদ্ধান্ত ।
What do you expect from Awami League and its comrades?
আওয়ামীলীগ মানেই আতঙ্ক। যারা ভুক্তভোগী তারা টের পায় অক্ষরে অক্ষরে।