রাজনীতি
যুগপৎ আন্দোলন জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ২:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে। পদযাত্রা কর্মসূচি সরকার পতন আন্দোলনের নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা গোটা দেশকে অশান্ত অবস্থায় নিয়ে গেছে । বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের চরিত্রই বদলে গেছে। তারা মুখে বলে একটা, করে আরেকটা। গোটা দেশবাসীর কাছে আওয়ামী লীগের চরিত্র এখন স্পষ্ট।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মহাসচিব এসব কথা বলেন। চলমান যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
লিয়াজো কমিটির বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে আজ ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জোর করে এককভাবে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। গোটা জাতিকে অশান্ত পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ দেশের মানুষ জানে না যে কিভাবে নির্বাচন হবে। জনগণকে ভোট দিতে পারবে কিনা সেটা জানে না।
বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মাদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব:) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো: আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।
পাঠকের মতামত
ধুরন্ধর ঠগবাজ স্বার্থপর অবৈধ শেখহাসিনার আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটা গণবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পাছে লোকে কিছু বলে --- এই নীতি থেকে বিএনপিকে বের হয়ে আসতে হবে ভসা ভাসা সাহিত্যিক বক্তব্য দিয়ে ভাষা কিংবা সাহিত্য বিশারদ বা বক্তা সাজাঁ যাবে অবৈধ সরকারকে টলানো যাবেনা। জনগণের উপর এই আওয়ামী সরকার বিন্দুমাত্র ভরসা করেনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে, সরকার ভরসা করে তার দুর্ধর্ষ ক্যাডার দুর্ধর্ষ প্রশাসন দুর্ধর্ষ পুলিশ দুর্ধর্ষ বিচারক আর দুর্ধর্ষ নির্বাহী বিভাগের উপর। সরকারী প্রেশক্রিপশান অনুযায়ী অনুমোদিত শৃংখলিত সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং করে লাখ নয় কোটি লোকের সমাবেশ ঘটিয়েও এ সরকারকে একচুল পরিমাণ তাদের অবস্থান থেকে বিচ্যুত করা যাবেনা। যে সরকার জনতাকে ভোটাধিকার দিতে নারাজ নিজের বিজয়ের কলকাঠি নিজের কুটকৌশল কুমতলবে সীমাবদ্ধ রেখেছে সেখানে জন সমাগমের বিস্ফোরণ দেখিয়ে ফায়দা কি? যাদের শক্তির উপর ভর করে সরকার টিকে আছে কিংবা টিকে থাকবে সেই দুর্ধর্ষদের সরকার রক্ষার দুর্ভেদ্য প্রাচীর কিভাবে ভেঙ্গে চুড়ে গুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া যায় সেই কৌশলের আন্দোলন করতে হবে বিএনপিকে। নয়তো মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবেনা, মরা গাছে ফুলও ফুটবে না। বিএনপির বর্তমান আন্দোলন দর্শন ভুলে ভরা এক জগাখিচুরিতে ঠাসা -- যা বলেছে ওবায়দুল কাদের। বিএনপি তার নিজস্ব শক্তিতে আন্দোলন করে নিজস্ব আধিপত্য নিয়ে ক্ষমতায় এসে নিজস্ব আধিপত্য দিয়েই দেশ চালাবে আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আন্দোলন সহযোগীদেরও কিছুটা ভাগ দিবে। এই প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দল গুলির সাথে বিএনপি সখ্যতা বন্ধুত্ব গড়ে তুলছে কিন্ত আন্দোলনে মহা বিষ্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম দুর্জয় দুঃসাহসী দুঃসময়ের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির চলছে মুখ না দেখা দেখির অভিমান। বিএনপির অভ্যন্তরে আন্দোলনের ঘাড় মটকানো লুকিয়ে থাকা বর্ণচোরা অবৈধ আওয়ামী সরকারের রসদ যোগানদাতা গুপ্তচর অপপরামর্শক নেতাদের কুটকৌশলেই জামায়াত বিএনপির এই অসহযোগীতা আর পরস্পর দুরত্ব। অথচ জামায়াত বিএনপির প্রতিটা কর্মসূচির সাথা আগ বাড়িয়ে একাত্বতা ঘোষণা করে আন্দোলনে সক্রিয় কর্মসূচি পালন করেছে বিনা যোগাযোগ সত্বেও। জামায়াতের প্রতি বিএনপির এই অসহযোগীতা অবমূল্যায়ণ অনীহা বিএনপির আন্দোলনকে ঘোর আধাঁর খাদে ফেলে দিতে পারে এই আশংকা আতংক জনমনে তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।
কিছু কিছু কথা ঠিক । তবে শতভাগ ঠিক নয় । আমাদের নির্বাচনী এলাকা উজান ও ভাটি অঞ্চলে বিভক্ত । তাছাড়া ও বাহুবল থানায় অর্ধেক । এতে তিন খণ্ড বলা যায় । ভাটি অঞ্চলের প্রার্থী বিএনপির । তাই ঐ অঞ্চলে এক চেটিয়া ভোট জাল ভোট বিএনপি পায় । উজান এলাকায় আধিপত্য আওয়ামী লীগের । ভাটি অঞ্চলের সঙ্গে অঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আছে । তদ্রূপ উজান অঞ্চলের সঙ্গে ভাটি অঞ্চলের । তাই দেখা যায় আধিপত্য যার যে এলাকায় নির্বাচনী রীতি মানে না কোন এলাকার লোক । উজান এলাকায় আওয়ামী লীগ একচেটিয়া ভোট পায় । প্রতাপ দেখায় বিএনপি ভাটি অঞ্চলে আওয়ামী লীগ উজান অঞ্চলে । এই প্রতিযোগিতা শুধু দল ভিত্তিক নয়, অঞ্চলে অঞ্চলে ও প্রতিযোগিতা এবং নিয়ম লঙ্ঘন হয় নির্বাচনে।