অনলাইন
মোদির উপর বিবিসি সিরিজ নিয়ে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ বছর আগে) ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
গুজরাট হিংসা নিয়ে বিবিসির একটি তথ্যচিত্র ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তথ্যচিত্রে গুজরাট হিংসার কিছু বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি -কে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই বিষয়ে বলেছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর বিবিসির ডকুমেন্টারির সাথে পরিচিত নন, তবে তিনি সেই মূল্যবোধের সাথে পরিচিত যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতকে দুটি সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসাবে পরিচালিত করে। প্রাইস ডকুমেন্টারি সম্পর্কে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন, ডকুমেন্টারি মুক্তির পর থেকে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রাইস সরাসরি বলেন, “আপনি যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লির “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ” সম্পর্কে আমি পরিচিত।'' সংবাদ সংস্থা এএনআই -এর খবর অনুযায়ী একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রাইস বলেছেন যে এমন অসংখ্য উপাদান রয়েছে যা ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করে। যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক। ভারতের গণতন্ত্রকে 'প্রাণবন্ত' বলে অভিহিত করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, “আমরা সব কিছুর দিকে তাকাই যা আমাদের একত্রে বেঁধে রাখে। আমরা সেই সমস্ত উপাদানকে শক্তিশালী করতে চাই যা আমাদের সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করে। আমরা যে মূল্যবোধগুলি ভাগ করি, সেই মূল্যবোধগুলি আমেরিকান গণতন্ত্র এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান। ”
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সম্প্রচারক বিবিসি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী মোদির মেয়াদের সময়কালে একটি দুই পর্বের সিরিজ সম্প্রচার করেছিল, যার মধ্যে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা সম্পৃক্ত ছিলো। ডকুমেন্টারিটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইউটিউব - টুইটার সহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন -“আমরা মনে করি এটা একটা প্রোপাগান্ডা। এর কোনো বাস্তবিকতা নেই। এটি পক্ষপাতমূলক। মনে রাখবেন যে এটি ভারতে দেখানো হয়নি। আমরা এই বিষয়ে আরও উত্তর দিয়ে তথ্যচিত্রটিকে গুরুত্ব দিতে চাই না। "
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে