অনলাইন
জনগণ নামলে সরকার হঠাতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে: নুর
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২০ মে ২০২২, শুক্রবার, ৮:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৮ অপরাহ্ন

জনগণ রাস্তায় নামলে সরকারকে হঠাতে এক মাস বা এক বছর নয়, মাত্র এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গাছে কাঁঠাল গোফে তেল, এই অভ্যাস পরিহার করুন। বিদেশীরা কখনো ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না। ক্ষমতায় বসতে চাইলে এদেশের জনগণকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকার লুটপাটের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা পাগল হয়ে গেছে তাই তো ড. রেজা কিবরিয়ার বাবা, যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করেছেন তাকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন। এই সরকার ড. ইউনুসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে কিভাবে অপমান করেছে আমরা দেখেছি। বাংলাদেশের এই কর্তৃত্ববাদ সরকার যদি আরো এক মেয়াদ থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করছে। দেশ ফেরাউনের নীতিতে শাসন হচ্ছে, জালিম শাসক তার জুলুমের মসনত টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদী মানুষকে ডুবিয়ে মারতে চায়।
যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের উত্থানকে সরকার ভয় পায় বলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুজ জাহের, সহকারি সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক রিজওয়ান রুপ দীনেশ, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল আলম, শামসুল আলম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মুরশেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সুহেল মৃধা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
আমি ও বাংলাদেশের একজন "জনগন"। বুঝিয়ে বলতে হবে কোন কারনে নামব,কি কারনে নামব? নামার পর আমি কি পাব তা জানাতে হবে। না পেলে তখন আপনাকে কোথায় পাব সেটাও আগে-ভেগে জানিয়ে রাখতে হবে। তখন আমি আপনাকে পদ্মায় ও নিয়ে যেয়ে চুবাতে পারব না অথবা বুড়িগংগায় ও না। কমছে কম হাতির ঝিল বা আশে-পাশের ড্রেন গুলিতে যেন চুবাতে পারি।
“হাতি ঘোঁড়া গেল তল মশা বলে কত জল !” এই নাবালক ছেলেটা আর বালক হবে না। দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে বলে অন্ন।
Very funny!!!
জনগনের তো খেয়ে কোন কাজ নেই। আপনারা জনগনকে দেখান শেখ হাসিনার রিপ্লেসমেন্ট কে ?তারপর জনগন ভেবে দেখবে নামবে কি নামবেনা আপনার রাজনৈতিক সময় ও বয়স ? সাবেক ডাকসু মান্না, সুলতান সাহেবদের দেখুন তারপর জনগনকে বলুন।বাংলাদেশের জনগন চারটিখানি কথা নয়। অন্ধকারে ঝাপ দেয়না।আমিও একজন সাধারনজনগন, কোন দল বা লীগের সাথে নেই।
আমি ও জনগনের একজন , কেন নামব ? ভুতে কিলাইছে নাকি? আমরা বেশী একটা খারাপ নেই । আপনারা এই সরকারের চেয়ে ভালো দেশ চালাতে পারবেন বলে মনে হয় না । আমরা অতিত দেখেছি , বর্তমানে অনেক ভালো আছি।
দেশের উন্নয়ন সত্যই চোখে পরতো যদি না লুটপাট হতো। আর লুটপাটের পরিমাণ এতো বেশি হয়েছে যে সেই বোঝা জনগণ কাঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারছে না। ফলে যা হবার তা তো হবেই।
আমি ও বাংলাদেশের একজন "জনগন"। বুঝিয়ে বলতে হবে কোন কারনে নামব,কি কারনে নামব? নামার পর আমি কি পাব তা জানাতে হবে। না পেলে তখন আপনাকে কোথায় পাব সেটাও আগে-ভেগে জানিয়ে রাখতে হবে। তখন আমি আপনাকে পদ্মায় ও নিয়ে যেয়ে চুবাতে পারব না অথবা বুড়িগংগায় ও না। কমছে কম হাতির ঝিল বা আশে-পাশের ড্রেন গুলিতে যেন চুবাতে পারি।
সরকার উন্নয়ন করেছে বেশ করেছে, সমর্থন করি। কিন্তু যে পরিমাণ দুর্নীতি এই সরকার করছে আর মন্ত্রীগুলো জনগণকে হেয় করে, অন্য দলগুলোকে ছোট করে যে ভাষা ব্যবহার যেনো এদেশের জনগণ তাদের কেনা দাস। এই দুর্নীতির মাসুল উসুল করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। আমিও ভ্যাট দেই। আমার পরিশ্রমের টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়ে যাবে আবার দাসের মত ব্যবহার করবে, এটা মেনে নেয়া যায় না
জনগণ নামলে হবে। কিন্তু কার কথায় কিসের আশায় কিসের ভরসায় জনগণ ঝুঁকি নেবে। গুলির সামনে সিনা টান করে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের তো ত্যাগী কর্মীর অভাব নেই। তবুও সেরকম ভাবে নিজেরা নামছেননা। জনগণ কেনো নামবে? তাছাড়া এখনো আপনারা বিচ্ছিন্ন। সবাই একমঞ্চে উঠতে পারেননা কেনো? আবার অতি সন্যাসীতে যদি গাঁজন নষ্ট হয় তাহলে আপনারা ব্যর্থ হবেন।