ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাবান ১৪৪৪ হিঃ

রাজনীতি

বিএনপির গণঅবস্থানে লোকারণ্য নয়াপল্টন

স্টাফ রিপোর্টার

(২ মাস আগে) ১১ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ১২:৫১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢলে লোকারণ্য নয়াপল্টন ও আশেপাশের এলাকা। বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যানারে মিছিল নিয়ে এসে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশেপাশের সড়কে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঢল বাড়ে। এতে ফকিরাপুল মোড় থেকে নাইন্টিংগেল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশেপাশের সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। 

সরজমিন পল্টন এলাকায় দেখা যায়, বিএনপির গণঅবস্থান ঘিরে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে এসে যোগ দিচ্ছেন। দুপুর ১২টার দিকে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে রাজধানীর ব্যস্ততম ভিআইপি সড়কের ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই এলাকায় সকল সড়ক ও অলি গলিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও সড়কের উত্তর পাশদিয়ে দু-একটি গাড়ি আসলেও পার হতে অনেক সময় লাগছে।

বিজ্ঞাপন
এছাড়া ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, আরামবাগ এলাকাতেও যানবাহনের যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে থাকেন। বিএনপির এই গণঅবস্থানের প্রধান অতিথি হিসেবে অতিথি রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে কর্মসূচির সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 
বিএনপির গণঅবস্থান ঘিরে যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
 

পাঠকের মতামত

বিএনপির এই গণঅবস্থান গণসমাবেশের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কি? দেশব্যাপি বিভাগীয় সমাবেশ হলো পরে চরম উত্তেজনা ধরপাকড় উত্তপ্ত বাকযুদ্ধের মাঝে ঢাকার গণ সমাবেশ গণমিছিল সবই হলো কিন্ত লক্ষ্যপূরণ কতখানি হলো কিংবা হবে এই কোন ফলাফল কি আছে? এখন চলছে গণঅবস্থান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে পরে সবাই যার যার গন্তব্যে চলে যাবে কিন্ত এই আসা এবং যাওয়া মাঝখানে উত্তপ্ত কিংবা উত্তেজনা পূর্ণ কিছু বক্তৃতা --- ফলফল কি? ওবায়দুল কাদেরের অশ্বডিম্ব না ঘোড়ার ডিম? দেশের সব মানুষ এমন কি ১০ বছরের শিশুও জানে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে আছে গত ১৪ বছর যাবৎ। দেশে সন্ত্রাস হত্যা গুম খুন লুট সহ ধর্ষনে অপশাসনে দুঃশাসনে এক নারকীয় পরিস্থিতি তৈরী করেছে। দুঃশাসনের ভার জনগণ আর বহন করতে পারছেনা। দেশি বিদেশী চাপ আছে সরকারের উপর। তথাপিও আওয়ামীলীগ কি বিন্দুমাত্র তাদের কর্মের জন্য অনুশোচনা করে ভীত কিংবা আতংকিত হয়েছে? ভোট ডাকাতির মানসিকতা কি পরিহার করেছে? লুটপাট অর্থলোপাট ধর্ষন অত্যাচার অবিচার থেকে কি ফিরে এসেছে? জাতির প্রত্যাশা নির্বাচন কালীন তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে ধূলিকণা সম নমনীয়তা কি দেখিয়েছে? দ্রব্যমূল্য তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম কি ১ পয়সা পরিমান কমিয়েছে না বাড়িয়েছে? এত সব প্রশ্নের উত্তরের ফলাফল কিন্ত একটা সফেদ সাদা লম্বাটে গোলাকার বস্তু এখন অবধি। তাতে সরকার তার অবৈধ ক্ষমতার স্বাদ আরো জোড়ালো ভাবে ভক্ষণ করছে এবং আগামীতেও করবে এব্যাপারে আওয়ামীলীগ খুব উৎফুল্ল এবং ফুরফুরে মেজাজেই আছে বলা যায়। পরিণতি কিন্তু বিএনপির বিপক্ষে।কঠিন জনসমর্থন পুষ্ট হয়েও বিএনপির আন্দোলন হালে কার্যকর গতি পাচ্ছেনা কেন? তার অন্তর্নিহীত কারণ উৎঘাটন সহ এর সমাধান সঠিক পথে এবং সময় মত করা বিএনপির অবশ্য কর্তব্য। বিএনপি যতই বৃহৎ দল হোক আন্দোলনের মাঠে ছোট ছোট ক্ষুদ্রদলেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তাদের সঠিক মূল্যায়ণ তাদের গুরুত্ব তাদের ভূমিকা তাদের সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেওয়াও অতীব প্রয়োজনীয় একটা দিক। এক্ষেত্রে একটি কথা না বললেই নয় সরকার বিরোধি দ্বিতীয় বৃহত্তম জানবাজ তুখোর সংগ্রামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আন্দোলনে মাঠে কোনই গুরুত্ব কিংবা মর্যাদা কিংবা মূল্যায়ণ করা হচ্ছেনা। আন্দোলনের শানিত ধারাকে সুচাগ্র শানিত করতে হলে বিএনপি জামায়াত কাধেঁ কাধ রেখে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আপদে বিপদে একে অপরের সহযোগী সহমর্মী সহব্যাথি হতে হবে। নয়তো পারস্পরিক দূরত্ব অবিশ্বাস অনাস্থা আন্দোলনকে দুর্বল অচল কিংবা গতিরুদ্ধ করতে পারে। এতে অবৈধ দখলদার সরকার আরো শক্ত কিংবা শক্তিশালী হবে নিঃসন্দেহে। বিষয়টা নিয়ে কি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহল ভাবছেন না এখনো জামায়াত বিষয়ে বেখেয়ালই আছেন?

আলমগীর
১১ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ১:৩৬ পূর্বাহ্ন

দেশ সবার আগে।দেশকে বাচাতে হবে।দেশ না থাকলে জনগনের কোন পরিচয় থাকে না।

ashraf Chowdhury
১১ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ১:০২ পূর্বাহ্ন

পুলিশ আজ দেখে না রাস্তা চলাচল বন্ধ। গত ১০ ডিসেম্বর তো তেমন লোক ছিল না, রাস্তার এক পাশ খোলা ছিলো। কিন্তু পুলিশ জনকষ্টের কথা বলে বিএনপি র উপর চড়াও হলো।

A R Sarkar
১১ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status