ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

মন্দিরার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা

খুমেক হাসপাতালের আরএমও সুহাস রঞ্জন লাপাত্তা, বোন গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৬ মে ২০২২, সোমবার

শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদারের আত্মহত্যার পর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সুহাস রঞ্জন হালদার লাপাত্তা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ২রা মে থেকে ১১ই মে পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় সুহাস রঞ্জনের বড় বোন সিথি মনি হালদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে তাকে মোংলা উপজেলার চটেরহাট এলাকার দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রবিউল হাসান বলেন, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আবাসিক কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে। ২৯শে এপ্রিল থেকে অনুপস্থিত। ২রা মে তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ১১ই মে পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন। খুমেক হাসপাতালের অপর আবাসিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী তার এ ছুটির আবেদন গ্রহণ করেন। ১১ই মের পর থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন
তার খোঁজ বিভিন্ন স্থানে নেয়া হচ্ছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী, গেল বছরের ডিসেম্বরে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মন্দিরা এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাসায় থেকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর আগে ওই চিকিৎসকের পিতা অসুস্থ হয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হলে আবাসিক কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের প্রস্তাব দিলে মন্দিরা সাড়া দেন। আবাসিক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয়। যেখান থেকে ফিরে আসা আর সম্ভব হয়নি মন্দিরার।
মৃতের পিতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, সুহাসের বড় বোনের বাসায় গিয়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান মন্দিরা। সবকিছু জেনে পিতা খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা সুহাসের কাছে যান। সুহাস মৃতের পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক সময়ে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে মন্দিরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। পরে সম্মানের ভয়ে মন্দিরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় বাসায় কেউ না থাকায় নিজ ঘরে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে পিতা সুহাস রঞ্জন হালদার ও বড় বোন সিথি মনি হালদারের নামে মামলা দায়ের করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমতাজুল হক বলেন, রাতে সুহাসের বোন সিথিকে মোংলা উপজেলার চটেরহাট এলাকার দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ॥

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status