বিশ্বজমিন
১৬০০ কোটি রুপি পাচার মামলা
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিলম্বিত
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৪ মে ২০২২, শনিবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও তার ছেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শেহবাজের বিরুদ্ধে ১৬০০ কোটি রুপি পাচারের মামলায় অভিযোগ গঠন শনিবার আবারও বিলম্বিত করা হয়েছে। এদিন শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী ও হামজার উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করতে পারেননি স্বাস্থ্যগত কারণে। এ জন্য তিনি মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। তিনি উপস্থিত না হওয়ার কারণে শনিবারের অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দেন আদালত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
গত মাসে লাহোরের বিশেষ আদালত এ দু’জনকে আদালতের পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ১৪ই মে সশরীরে উপস্থিত থাকতে বলেছিল। এদিন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে শেহবাজ শরীফের পক্ষে তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ আমজাদ পারভেজ একটি আবেদন দাখিল করেন। এতে তারা আদালতে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ১৩ই মে আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল শেহবাজ শরীফের। কিন্তু তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছেন।
শেহবাজ শরীফ ক্যান্সার আক্রান্ত। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি বেঁচে আছেন। এ ছাড়া তার প্রচ- ‘ব্যাকপেইন’ আছে। কিন্তু ইমরান খানের পিটিআইয়ের সরকারের সময় তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি। ফলে তিনি অনেকদিন মেডিকেল চেকআপ করাতে পারেননি। ওদিকে আবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরার শিডিউল নতুন করে করতে হবে। কারণ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মারা যাওয়ায় তিনি যাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানাতে পারেন।
স্পেশাল আদালতের বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান এই আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং ২১ শে মে পর্যন্ত শেহবাজ শরীফ ও হামজা শরীফকে জামিন দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে অর্থ পাচারের অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি (এনআইএ) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানের বিরুদ্ধে মামলা করে। এর মধ্যে সুলেমান শেহবাজ অবস্থান করছেন বৃটেনে। তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া এফআইআরে অন্য ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ২৭ শে জানুয়ারি শেহবাজ ও হামজা শরীফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারপূর্ববর্তী জামিন অনুমোদন করে বিশেষ আদালত।
শনিবার তাদের পক্ষে আদালতে আবেদন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি উত্থাপন করেননি এফআইএ’র প্রসিকিউটর ফারুক বাজওয়া। তিনি বলেছেন, এই মামলায় যারা অভিযুক্ত শুনানিতে তাদের সবার উপস্থিতি অত্যাবশ্যক। ওদিকে শেহবাজ ও হামজার পক্ষে আইনজীবী পারভেজ বলেন, এই মামলায় যেসব কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা পাকিস্তানের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নিবন্ধিত। শেহবাজ কখনো কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার ছিলেন না। কোনো তদন্ত ছাড়া এই মামলা করা হয়েছে আগের সরকারের সময়ে।