তথ্য প্রযুক্তি
পরিবেশ বান্ধব উপাদান নিশ্চিত করতে পারে আইসিটি: মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সম্প্রতি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের গণমাধ্যমের সাথে একটি ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস -এর চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড গ্রিন আইসিটি সল্যুশনস প্রদানে হুয়াওয়ের লক্ষ্য পুনর্ব্যাক্ত করেন। আলোচনায় তিনি বলেন, বিভিন্ন খাতে পরিবেসবান্ধব উপাদান নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারে আইসিটি। যদিও বিশ্বের শক্তির মাত্র দুই শতাংশ আইসিটি সেক্টরে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এর মাধ্যমে আরও ১০ গুণ শক্তির ব্যবহার হ্রাস করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, আগামী দশ বছরে বিশ্বের ২০ শতাংশ শক্তির ব্যবহার কমানো সম্ভব হবে আইসিটির মাধ্যমে। কারণ হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলি এআই এবং নতুন মডেলের সংমিশ্রণ ব্যবহার করছে যাতে ব্যবহারকারীরা কী ঘটছে তা দেখতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুসারে জিনিসগুলি চালু এবং বন্ধ করতে পারেন। বার্সেলোনায় আয়োজিত এমডব্লিউসি২০২২ উপলক্ষ্যে এই গোলটেবিলটির আয়োজন করা হয়। এই আলোচনায় হুয়াওয়ের এসিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে সহায়তা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান ও সার্কুলার ইকোনমিতে অবদান রাখার চেষ্টা করা হবে। এরই সাথে ক্লিন এনার্জি উৎপাদন, ইলেকট্রিক পরিবহণ ও স্মার্ট এনার্জি সংরক্ষণকে কাজে লাগিয়ে আরও সবুজ ও টেকসই ডিজিটাল বিশ্ব তৈরির প্রচেষ্টার পাশাপাশি হুয়াওয়ে টেকসই সবুজ সমাধানে বিনিয়োগ বাড়াবে।
এই ধরনের অগ্রগতির মাধ্যমে আইসিটি শিল্প অন্যান্য শিল্পকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অঙ্গীকার ইন এশিয়া প্যাসিফিক, ফর এশিয়া প্যাসিফিক’। জীবনকে আরও সুন্দর, ব্যবসাকে আরও স্মার্ট আর সমাজকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে এমন সমাধান তৈরিতে হুয়াওয়েতে আমরা সারা বিশ্বের ক্যারিয়ার এবং অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমাদের আইসিটি প্রযুক্তি বিশ্বকে আরও সবুজ ও টেকসই করে তুলতে কীভাবে সাহায্য করছে সেটাও আমরা শেয়ার করতে চাই।
উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিকে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়তে সহায়তা করার লক্ষ্যে গত বছর হুয়াওয়ে ঘোষণা করে যে ২০২৬ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিকে পাঁচ লাখ ডিজিটাল ট্যালেন্ট বিকাশে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা) এবং এই অঞ্চলে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে তিন বছরে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে।