দেশ বিদেশ
খাইবার পাখতুনে ফের সন্ত্রাসী হামলা স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশের মালাকান্দ বিভাগে তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) পুনরুভ্যুত্থান ঘটছে; ফলে ওই এলাকায় প্রতিদিন আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে উত্তেজিত ও অশান্ত হয়ে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রদেশটির মহমান্দ জেলার সাফি তহসিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, টার্গেট কিলিং, চাঁদাবাজি ও গুমের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জিরগা সদস্যরা। এই শান্তি কর্মসূচি সাফি থেকে শুরু হয়ে জেলা সদরদপ্তর ঘালানাইতে গিয়ে শেষ হবে এবং সেখানেই তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। সকল প্রবণী, ছাত্র, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সাফি গ্রান্ড আমান জিরগা নেতা মালিক জাহিদ বলেছেন, চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং এবং আদিবাসীদের গুমের ঘটনার প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচি। তিনি সরকারের কাছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তঞ্চলে সংঘাত বেড়েছে, যা কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি করছে।
সম্প্রতি খাইবার পাখতুন খাওয়ার তৃতীয় বৃহত্তম জেলা শহর সোয়াততের মিনগোড়া বাজার এলাকায় কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ করেছে। সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং এই উপত্যকায় সন্ত্রাসী তৎপরতার পুনরুভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
এসব বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগ ছিল তরুণ যুবক, বয়স্ক, আইনজীবী, পরিবহন কর্মী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তারা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। ওই উপত্যকায় ফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ফিরিয়ে না আনার দাবি তোলে।
একই সময়ে আলী মসজিদ এলাকাও একই ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পেশওয়ার-তর্খাম মহাসড়ক কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
টিটিপি পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত; সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকায় নিষিদ্ধ এই গোষ্ঠীর পুনরায় আবির্ভাবে ইসলামাবাদে বিপদের ঘণ্টা বেজেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান জঙ্গিরা কয়েক মাস আগে সোয়াত জেলার মাট্টা মহকুমার পাহাড়ের চূড়া দখল করেছিল, যা প্রতিবেশী কয়েকটি জেলায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। প্রাথমিকভাবে, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং শেহবাজ শরীফ উভয় সরকারই এই বিষয়ে নীরব। বিষয়টি সামনে আসার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, তারা সোয়াতে তালেবানের উপস্থিতির বিষয়ে আফগান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
সূত্র:এএনআই