বিশ্বজমিন
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবথেকে বড় সাইবার হামলা, হুমকিতে কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১২:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১৬ অপরাহ্ন
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় এক কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক হয়েছে। দেশটির টেলিকমিউনিকেশন খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান অপটাস গত সপ্তাহেই বিষয়টি জানতে পারে। এটিকে বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সবথেকে বড় সাইবার হামলা। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪০ ভাগ লোকেরই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে গেছে এই হ্যাকের মাধ্যমে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, অপটাস সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশন লিঃ-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। তারা ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর প্রকাশ করে যে নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন কার্যক্রমের বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই প্রতিষ্ঠান জানায় যে তাদের সাবেক ও বর্তমান গ্রাহকদের ডাটা চুরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে নাম, জন্মতারিখ, ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা, পাসপোর্ট নাম্বার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার। তবে তারা দাবি করে যে পেমেন্ট বিষয়ক তথ্যাদি ও অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়নি।
সরকার বলেছে, যাদের পাসপোর্ট বা লাইসেন্স নাম্বার চুরি হয়েছে তাদের আইডেন্টিটি চুরি বা প্রতারণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।
এর আগে শনিবার একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী একটি অনলাইন ফোরামে কিছু নমুনা প্রকাশ করেন এবং অপটাস থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এক মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেন। কোম্পানিটিকে এটি পরিশোধের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। তা না হলে চুরি করা তথ্য বিক্রির হুমকি দেয়া হয়। তদন্তকারীরা এখনো ওই ব্যক্তির দাবির বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পারেনি। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে প্রকাশিত নমুনার কিছু তাদের কাছে সত্যি মনে হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একের পর এক বার্তায় ভেসে যাচ্ছে অপ্টাস। কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলাও হতে পারে। সরকার এ ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যায়িত করেছে এবং অপ্টাসকে দোষারোপ করে বলেছে যে, তারা জানালা কার্যকর ভাবে খুলে রেখেছিলো, যাতে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি হতে পারে। সোমবার এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নেইলকেও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে, তিনিও অপ্টাসের মতো নিখুঁত হামলাকেই একমাত্র কারণ মনে করেন কিনা। তিনি বলেছেন, না। এটি তা ছিলো না।
বেয়ার রোজমারিন মঙ্গলবার নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন, আমাদের কয়েক স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে। সুতরাং এটা শুধু সফটওয়্যার ইন্টারফেসে প্রবেশের বিষয় নয়। আমি মনে করি বেশিরভাগ গ্রাহকরাই বুঝতে পেরেছেন যে আমরা ভিলেন নই। মিস ও'নেইল বলেছেন, এ ঘটনা প্রকাশ করেছে যে বিশ্বের অন্য অংশ থেকে অস্ট্রেলিয়া ব্যক্তিগত ও সাইবার নিরাপত্তা ইস্যুতে কতটা পিছিয়ে আছে। সম্ভবত আমরা এক দশক পিছিয়ে আছি।