অনলাইন
প্রতিদ্বন্দ্বি ছাড়াই নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ২৭ চেয়ারম্যান
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২১ পূর্বাহ্ন
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৭ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। এতে এই নির্বাচনে ৬১ জেলার চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে ভোটের আর দরকার হবে না। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন প্রার্থী ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়। সব মিলিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন ৭৭ জন প্রার্থী। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ শেষে দেশের ৬১ জেলার একীভূত তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা।
সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ চলছে। এর আগে রোববার শেষ হয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়। ১৭ই অক্টোবর জেলা পরিষদে ভোট হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, পাবনা, পিরোজপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলায় চেয়ারম্যানন পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
প্রত্যাহার শেষে ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল ৯৩ জন। তাদের মধ্যে ২৭ জন ছিলেন একক প্রার্থী। এসব জেলায় সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬১৭ জন। তাদের মধ্যে ১৯ জন একক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিটি জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান সংখ্যক সাধারণ সদস্য এবং উপজেলার এক তৃতীয়াংশ সংখ্যক সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হবেন, তবে তা দুই এর কম হবে না। এর আগে ২০১৬ সালের ভোটেও প্রতিটি জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করার সুযোগ ছিল। চলতি বছর এ নিয়মে সংশোধনী আনা হয়।
এবার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের মোট ৬৩ হাজারেরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন।
জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর ২০১৬ সালে প্রথম নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে। এবার হচ্ছে দ্বিতীয় নির্বাচন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। তবে চট্টগ্রামে আলাদা রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।