দেশ বিদেশ
২৭৪ কোটি টাকার অবৈধ অর্জন
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবারজ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় সাবেক গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ই অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এর আগে ৮ই সেপ্টেম্বর পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক, কারাগারে ৪ জন। শুনানি উপলক্ষে কারাগারে থাকা পি কে হালদারের মামাতো ভাই শঙ্খ ব্যাপারী, ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা ও অবন্তিকা বড়ালকে আদালতে হাজির করা হয়।
পলাতক অন্য আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। দুদকের দেয়া অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও হোটেল কিনেছেন। এ ছাড়া তিনি কানাডায় পাচার করেছেন প্রায় ৮০ কোটি টাকা। দুদক বলেছে, দেশের ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান ৪টি হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।