বিশ্বজমিন
কেনিয়ায় গণ-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে জনগণ, কঠিন চাপে সরকার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ৭:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫২ অপরাহ্ন

১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক সাবা সাবা আন্দোলনের সঙ্গে মিল রেখে গণ-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে কেনিয়ার জনগণ। এতে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এতে চাপ বাড়ছে দেশটির সরকারের ওপর। ১৯৯০ সালের ৭ জুলাই কেনিয়ার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকে স্থানীয় ভাষায় সাবা সাবা আন্দোলন বলে অভিহিত করা হয়। যার ইংরেজি শব্দ ‘সেভেন সেভেন’। আর বাংলা অর্থ হচ্ছে ‘সাত সাত’। এ বছর ওই আন্দোলনের ৩৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ফের ফুসে উঠেছে সে দেশের মানুষ। অর্থনৈতিক বৈষম্য, অপশাসন ও ধারাবাহিকভাবে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন কেনিয়ার নতুন প্রজন্ম। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এতে বলা হয়, ১৯৯০ সালের বিক্ষোভ হয়েছিল তৎকালীন কেনিয়ার স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল মোইয়ের বিরুদ্ধে। আর এবার তরুণ প্রজন্মকে বিক্ষোভের দিকে ঠেলে দিয়েছে কেনিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। তার কর বৃদ্ধি আইনের বিরুদ্ধে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন আন্দোলনের সূচনা করেন কেনিয়ার জেন-জি জেনারেশন বা নতুন প্রজন্মের তরুণরা। গত বছর শুরু হওয়া তরুণদের এই আন্দোলন আবরও জেগে উঠেছে এ বছরের ৮ জুন। এদিন পুলিশের হেফাজতে এক শিক্ষক এবং আলবার্ট ওমোনদি ওজওয়াং নামের এক ব্লগারের মৃত্যুতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট বলছে নিহতদের আগেই গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই দেখে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রুটো। তিনি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে বিক্ষোভ দমনে সহিংস আচরণ করেছে পুলিশ। ১৭ জুন বোনিয়াফেস কারিউকি নামের একজন ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। যাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে মারা যান। এরপর আন্দোলন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ২৫ জুন কেনিয়ার ৪৭টি শহরের প্রায় ২৩টি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নতুন করে পুলিশের সহিংস আচরণে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। যদিও সরকার পুলিশের নৃশংসতার বিষয়টি শিকার করেনি। রুটো সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকুমেন পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার দাবি মানবাধিকার সংস্থাগুলো অতিরঞ্জিত করে এসব খবর প্রচার করছে। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও লুটতরাজের অভিযোগ এনেছে। দেশটির গণমাধ্যম সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এছাড়া সরাসরি সম্প্রচারের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও হুমকির মধ্যে পড়েছে। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সহিংসতা বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে সম্প্রচার মাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।