বিশ্বজমিন
মিয়ানমার থেকে বিরল খনিজ সরবরাহে জান্তাকে শক্তিশালী করতে চায় চীন
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:৫০ অপরাহ্ন

বিরল খনিজ সরবরাহ অনেকটাই নির্ভর করছে উত্তর মিয়ানমারের পাহাড়ে বিদ্রোহী ও চীন সমর্থিত সামরিক জান্তার মধ্যকার যুদ্ধের ফলাফলের ওপর। কেননা চীন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত মিয়ানমারের ভামো শহর দখলে নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। নিজেদের দখল হারিয়ে গোষ্ঠীটির সঙ্গে যুদ্ধ করছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভারী বিরল খনিজ সরবরাহ করা হয় কাচিন রাজ্যের খনি থেকে। যার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে গ্যারিসন শহরের ভামো অঞ্চলের খনি। এখান থেকে এসব বিরল খনিজ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করতে সেগুলো চীনে পাঠানো হয়। এসব ভারী বিরল খনিজের প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রমের একচেটিয়া আধিপত্য এখন চীনের হাতে। বিদ্রোহীদের দখল প্রচেষ্টা বন্ধ না করলে এসব বিরল খনিজ না কেনার হুমকি দিয়েছে চীন সরকার। বিষয়টি জানে এমন তিন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, এ বিষয়ে বছরের শুরুতে কেআইএ এর সঙ্গে বৈঠক করেছে চীন। যে বিষয়ে সর্বপ্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স। সেখানে বলা হয়, আঞ্চলিক আধিপত্য ধরে রাখতে বিরল খনিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বেইজিং। সূত্রের তথ্য মতে, এ বছরের মে মাসে নিজেদের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে চীন। কেআইএ এর সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে ওই সূত্র। ওই অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে বিরল খনিজ সরবরাহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ফলে মিয়ানমার থেকে বিশ্বব্যাপী খনিজ রপ্তানি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। মূলত এ কারণেই এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে চীন এই বসন্তে খনিজ পদার্থের রপ্তানি সীমিত করে। যাতে বিশ্বব্যাপী খনিজ সরবরাহ চেইনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে বর্তমানে সেই চেইন সচল করতে জান্তা সরকারকে শক্তিশালী করতে চাইছে বেইজিং। যেন আঞ্চলিকভাবে খনিজ সরবরাহে তাদের আধিপত্য টিকে থাকে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তিনি জানিয়েছেন, কেআইএ এর সুনির্দিষ্ট আলোচনার বিষয়ে তিনি অবগত নন।