বিশ্বজমিন
ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে জবাবদিহিতায় না আনলে ভয়াবহ পরিণতি: আরাঘচি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ন

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইসরাইলকে তার সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জন্য জবাবদিহির আওতায় না আনা হয়, তবে ‘পুরো অঞ্চল এবং এর বাইরেও ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে দেয়া এক বক্তৃতায় আরাঘচি বলেন, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথ হামলা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের সরাসরি লঙ্ঘন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
আরাঘচি আরও বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, ইসরাইলের আগ্রাসনে তারা পূর্ণ সহযোগী। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি জাতিসংঘের প্রস্তাব ২২৩১-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। সেখানে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস+ সম্মেলনে ১১টি সদস্য দেশ ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, আমরা ১৩ জুন ২০২৫ থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর পরিচালিত সামরিক হামলাগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বেসামরিক অবকাঠামো এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইচ্ছাকৃত হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অবস্থানে থাকা তেহরানের জন্য এটি একটি কূটনৈতিক সাফল্য, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব ও পাশ্চাত্য জোট থেকে যে পরিমাণ সমর্থন আসেনি, তার বিপরীতে ব্রিকস+ দেশগুলোর এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। ১৩ই জুন ভোরে ইসরাইল ‘সারপ্রাইজ অ্যাটাক’ চালিয়ে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে কমপক্ষে ৯৩৫ জন নিহত এবং ৫,৩৩২ জন আহত হন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রসহ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি। ইরানও এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরাইলে নিক্ষেপ করে। হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম-এর তথ্য মতে, এই পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত ও ৩,৪০০ জনের বেশি আহত হয়।