দেশ বিদেশ
৪টি চা বাগান কর্তৃপক্ষের থানায় জিডি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবারএকজন চা শ্রমিকের দৈনিক ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রমিক ধর্মঘটের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শ্রীমঙ্গলের চারটি চা বাগানের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিতে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কাঁচা চা পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে চা বাগানগুলোর পক্ষ থেকে আলাদাভাবে জিডি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির। জিডি সূত্রে জানা যায়, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে কাঁচা চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। ধর্মঘটের কারণে রাজঘাট চা বাগানের ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৫ কেজি, ডিনস্টন চা কারখানায় ৯৯ হাজার ২৫০ কেজি, বালিশিরা চা কারখানায় ৫০ হাজার ২০৭ কেজি, আমরাইল চা কারখানায় ৫ হাজার ৬৮৩ কেজি কাঁচা চা পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকে কাজ বন্ধ রাখায় উত্তোলিত চা পাতা প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। তাই এই কাঁচা পাতাগুলো কারখানায় থেকে নষ্ট হচ্ছে এবং এতে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। জিডি’র বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, ‘আমরা বলবো, এই চা পাতা নষ্ট হওয়ার পেছনে মালিক পক্ষই দায়ী। আমরা আন্দোলনে যাওয়ার আগে মালিকপক্ষকে মজুরি বাড়ানোর জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমরা টানা চার দিন মাত্র দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দেই। তখন চা শ্রমিকেরা কর্মবিরতি করেও বাগানের সব কাজ করেছেন। দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেও আমরা চা বাগানের ক্ষতি করিনি। আমাদের দাবি তখনই মেনে নেয়া বা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে মালিকপক্ষ বসলে আজকের ধর্মঘটের প্রয়োজন পড়তো না। মালিকপক্ষ ইচ্ছে করেই কালক্ষেপণ করেই চায়ের ক্ষতি করছে। গত ১৯ মাস ধরে মজুরি সমস্যার সমাধান না করে যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য মূলত বাগান কর্তৃপক্ষই দায়ী।’ শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগান, ডিনস্টন চা বাগান, আমরাইল ছড়া চা বাগান ও বালিশিরা চা বাগান এই চারটি বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজাররা বাদী হয়ে আলাদাভাবে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।