তাইজুলের কাঠগড়ায় দলের ব্যাটিং

নিজের ক্যারিয়ারের ১৭তম ফাইফার। আর দুইবার এমন কৃতিত্ব দেখালে ছুঁয়ে ফেলবেন সাকিব আল হাসানকে। তবে বিদেশের মাটিতে এই অর্জনে তাইজুল এখন সাকিবের পাশে। দু’জন দেশের হয়ে পাঁচবার করে ৫ উইকেট নিয়েছেন ভিন দেশে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে এমন সাফল্যেও খুব একটা উদযাপনের সুযোগ নেই এই টাইগার স্পিনারের। ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ৪ দিনেই টেস্ট হারের পথে বাংলাদেশ। টাইগারদের ২৪৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরা ৪৫৮ রানে অলআউট হয়। তবে ২১১ রানের লিড নিয়ে নেয় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯৬ রান পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তৃতীয় দিন শেষে হারিয়েছে ৬ উইকেট। আজ চতুর্থ দিন শুরু করবেন ১৬ রান করা অবশিষ্ট একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার লিটন কুমার দাস। বলার অপেক্ষা রাখে না তাকে সঙ্গ দেবেন দলের লোয়ার অর্ডারে খেলা ব্যাটাররা। তাই প্রথম সকালেই ইনিংস ব্যাবধানে হারের শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। দলের এমন পরিস্থিতিতে তাইজুল বেশ হতাশ ও বিব্রত। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা এই স্পিনার মুখে হাসি রাখলেও ছিল না কোনো উচ্ছ্বাস। 
তবে তার কাঠগড়ায় শুধু ব্যাটাররাই নয়, বোলাররাও। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিতভাবে ভালো হয়নি, বোলিং বা ব্যাটিং কোনো বিভাগেই আমরা ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারিনি। এটাই মূল কারণ।’ বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় দিন হতাশাজনক পারফরম্যান্স করলেও, তৃতীয় দিনে তাইজুল, নাঈম এবং নাহিদের বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৪৫৮ রানে অলআউট করা সম্ভব হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল পারফরম্যান্সের কারণ এবং দলের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল থাকলেও, দলের সামগ্রিক ব্যর্থতা তাকে হতাশ করেছে বলে জানান তিনি। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজে কিভাবে ভালো করেছেন সেটিও জানিয়েছেন তিনি। তাইজুল বলেন, ‘আলাদা কিছু নয়, শুধু প্রক্রিয়াটা ধরে রাখা এবং একই অবস্থানে থেকে উইকেট কীভাবে আচরণ করবে তা বোঝার চেষ্টা করা। আমি সেই অনুযায়ী বোলিং করেছি।’ বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে ১৫৮ রানে দ্রুত আউট করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা জানিয়েছেন এই স্পিনার। তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট ছিল। কারণ সে দারুণ ফর্মে ছিল, ভালো খেলছিল এবং গত ম্যাচেও বড় স্কোর করেছিল। তাই তাকে আউট করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ রান আরও বেশি হতে পারত।’ সাকিব ২৪৭ উইকেট নিয়ে এখনো টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তবে তাইজুল ধীরে ধীরে তাকে ছুঁয়ে ফেলছেন। মাত্র ৯ উইকেট পেলেই তিনি দেশের অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনারকে স্পর্শ করবেন। তবে নিজের লক্ষ্য বা সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট শিকার তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার মতে দেশের জন্য খেলাটাই আসল। তাইজুল বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কোনো লক্ষ্য নেই। দেশের এবং দলের জন্য সেরাটা দেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’