খেলা
জুভেন্টাসকে ‘লজ্জায়’ ফেলে তৃপ্তির ঢেঁকুর গার্দিওলার
স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
গ্রুপের স্থান নির্ধারণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জুভেন্টাসকে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিয়ান জায়ান্টদের ৫-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় সিটিজেনরা। শুধু গোল নয়, মাঠের খেলাতেও ওল্ড লেডিদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। সে কারণেই ম্যাচের পর সিটি বস পেপ গার্দিওলার গলায় শোনা গেল আনন্দের সুর। ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা সিটিজেনরা গোলের দিকে ২৪টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে ১১টি। বিপরীতে জুভেন্টাসের ৫টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ২টি শট, সে দু’টিই গোল। এদিনের ম্যাচের আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে দু’দল, তবে গোল ডিফারেন্সে ‘জি’ গ্রুপে সবার উপরে ছিল জুভে। ম্যাচে ওল্ড লেডিদের গোলকিপার মিকেল দি গ্রেগোরিও ৭টি সেভ না করলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত সিটির জন্য। নবম মিনিটে জেরিমি ডকুর গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় গার্দিওলার ছেলেরা। মিনিট দুয়েকের মধ্যে জুভের সমতাসূচক গোলটি করেন টেউন কুপমেইনার্স। এরপর অবশ্য মাঠের লড়াইটা হয়েছে একপেশেই। ২৬তম মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ইতালিয়ান জায়ান্টদের পিয়েরে কালুলু, আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সিটি। বিরতির পর মাঠে ফিরে ৫২তম মিনিটে আর্লিং ব্রুট হালান্দের গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। ৬৯তম মিনিটে সিটিজেনদের চতুর্থ গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এর ছয় মিনিটের মাথায় ডি বক্সের বাইরে থেকে দৃষ্টিনন্দন এক শটে দলের শেষ গোলটি করেন সাভিনহো। ৮৪তম মিনিটে জুভের দুসান ভ্লাহোভিচের গোল স্রেফ ব্যবধানই কমায়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিযোগিতায় ৬৬ বছর পর ৫ বা তার বেশি গোল খাওয়ায় লজ্জায় পড়ল জুভেন্টাস। শেষবার ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে অস্ট্রিয়ান ক্লাব ভিনারের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারে দলটি। এদিন শিষ্যদের খেলার ধরনে সন্তুষ্ট সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যাচ শেষে এই স্প্যানিশ বস বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেললাম, আমার ভাল লেগেছে। অনেক দিন পর এত ভালো খেললাম আমরা। বল পায়ে ও বল ছাড়াও এমন পারফরম্যান্স আমরা অনেক দিন পর করলাম। শীর্ষমানের একটি দলকে এভাবে হারিয়ে আমরা খুশি।’
যেখানে মেসি-রোনালদোদের ছাড়িয়ে হালান্দ
ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করে ক্যারিয়ারের ৩০০তম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং ব্রুট হালান্দ। দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে স্রেফ ৩৭০ ম্যাচেই এই কীর্তি গড়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই তারকা। ইএসপিএনের তথ্যমতে, এই মাইলফলক হালান্দ ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের চেয়েও দ্রুতগতিতে। এই অনন্য উচ্চতায় যেতে রোনালদো ম্যাচ খেলেন ৫৫৪টি, মেসি ৪১৮টি ও এমবাপ্পে ৪০৯টি। হালান্দ সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তার বর্তমান ক্লাব ম্যান সিটির হয়েই। ইংলিশ জায়ান্টদের হয়ে তিনি ১৪৫ ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেছেন ১২৪বার। দুর্দান্ত এই অর্জনে গুরু গার্দিওলার প্রতিক্রিয়া জানান এভাবে, ‘আমি অভিনন্দই জানাতে পারি। ২৪ বছর বয়েসেই সে ৩০০ গোল করে ফেলেছে.. স্ট্রাইকার হিসেবে তাকে আমি অনেক প্রশংসা করি। আর্লিংয়ের জন্য আমি এর খুশি... সে যত গোল করে এবং ছোট জায়গায় মধ্যে যেভাবে সম্পৃক্ত থাকে.. জিনিসগুলো এত এত ভালো..।’