দেশ বিদেশ
ইরানে মোসাদের এজেন্টদের ধরপাকড় ও মৃত্যুদণ্ড অব্যাহত
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ জুন ২০২৫, শনিবারইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ব্যাপক ধরপাকড় ও মৃত্যুদণ্ডের ধারা অব্যাহত রেখেছে ইরান। দেশটির কর্মকর্তারা সন্দেহ করেছেন, সংঘাতের সময় ইসরাইলের কাছে সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানে বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর মধ্যে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সিনিয়র কমান্ডারসহ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীদেরকে হত্যা অন্যতম। ইরান এর জন্য ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন এমন সন্দেহভাজনকে টার্গেট করছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার একই অভিযোগে আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটি। কর্তৃপক্ষ এরপর থেকে সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আটককৃতদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য সম্প্রচার করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অবশ্য এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পশ্চিমা ও ইসরাইলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে নিরলস যুদ্ধে লিপ্ত। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্স ১৩ই জুন থেকেই সতর্ক করে বলেছে, ইরানে ইসরাইলের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংবাদ সংস্থাটির তরফে আরও বলা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে এমন ৭০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানিরা বিবিসি পার্সিয়ানকে জানিয়েছেন, দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তাদের ফোন নম্বরগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে এমন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দেখা গেছে। এ ছাড়া ফার্সি ভাষার বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকদের ওপরও ইরান সরকারের চাপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল নামের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছে, ওই চ্যানেলের এক সংবাদ উপস্থাপিকার পিতা, মাতা ও ভাইকে আটক করেছে আইআরজিসি।
ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে সংবাদ প্রচারের জেরে টিভি উপস্থাপিকাকে পদত্যাগে চাপ দিতে ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।