কুমিল্লায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মা ছেলে গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ২ বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় অভিযুক্ত সোয়াদুর রহমান সিয়াম (২৮) ও তার মা তানিয়া আক্তার মণি (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীর মা গত বুধবার সিয়াম ও দুই সহযোগী, মা মণি ও বোন মাইশা রহমান মিমের (১৯) বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। 
এজাহারে বলা হয়, সিয়ামের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকার শাপলা মার্কেট সংলগ্ন মণি হাউজে। এই বাড়িতে দুই বছর ভাড়া ছিলেন ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। এ সময় সিয়াম তাকে প্রেম নিবেদন করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ধর্ষণ করে। সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার নগদ টাকা নিয়ে যায়। ঘটনার পর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি ওই ছাত্রীর মা তার পরিবারকে জানায়। এরপর তারা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। গত ২৪শে জুন দুপুরে ছাত্রীকে সিয়ামের নানির বাড়িতে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ জোর করে খাওয়ায় এবং পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করে। পরে ওই ছাত্রীর মা তাকে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, চকবাজার এলাকার আসামির নিজ বাড়ি থেকে সিয়াম ও তার মাকে আমরা গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আরেক আসামি মিম পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।