সরাইলে রুমিন ফারহানার কর্মী সভা প্রতিহতের ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কর্মী সভা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় একাংশের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার উপজেলার চুন্টা এলাকায় তার কর্মী সভা রয়েছে। গতকাল কর্মী সভা বন্ধের দাবিতে বিএনপি নেতা মো. লিয়াকত মিয়া ও ইউপি বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মনিরুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে চুন্টা বাজারে বিক্ষোভ করেছেন। রুমিন ফারহানার সভাস্থলে শনিবার সকালে কর্মী সভা আহ্বান করেছেন মনিরুল ইসলাম। ফলে চুন্টায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
জানা যায়, গত ১২-১৪ দিন আগেই কর্মী সভার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি’র একাংশের নেতাকর্মীরা। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। চলছে তাদের প্রচার-প্রচারণা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রুমিন ফারহানার কর্মী সভা নিয়ে চুন্টা বিএনপি’র আরেক অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। শুক্রবার সকালে মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মী সভা বন্ধের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সেনবাড়ীতে এক পথসভায় মিলিত হন।

সভায় বক্তব্য রাখেন- ইউপি বিএনপি’র সহ-সভাপতি আতর আলী, সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা বিএনপি নেতা মো. লিয়াকত আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান, সম্পাদক মো. ইয়াছিন মিয়া, ইউপি জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম, ইউপি যুবদলের সাবেক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. সামছুল হক, ইউপি ছাত্রদলের সভাপতি মো. মাহবুব ও সম্পাদক মো. খালেক মিয়া। 
বক্তারা বলেন, রুমিন ফারহানা কেন্দ্রীয় নেত্রী। আমরা তাকে সম্মান করি। আমরাও তার সভায় সহযোগিতা করবো। তবে তাকে উপজেলা বিএনপি’র সঙ্গে সমন্বয় করে আসতে হবে। রুমিন ফারহানার কর্মী সভার আয়োজকদের একজন ইউপি বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান নান্নু বলেন, ১৪ দিন আগে থেকে সভার ঘোষণা ও প্রস্তুতি চলছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সর্বক্ষণ দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে। কথা-বার্তা হচ্ছে। তারা তো এতদিন এই বিষয়ে কিছুই বলেননি। হঠাৎ করে আজকে বিক্ষোভ মিছিল-সভা। এটা উপজেলা বিএনপি’র কতিপয় নেতার ইন্ধনে হচ্ছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, চুন্টার বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। নজরদারিও রাখছি।