দেশ বিদেশ
আবু সাঈদ হত্যা
৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৯শে জুন
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুন ২০২৫, শুক্রবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪শে জুন প্রসিকিউশন অফিসে জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এই হত্যার ঘটনায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। আগামী ২৯শে জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ উপস্থাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন বিভাগের পক্ষ থেকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কে জানিয়েছেন। সকালে মামলার ৪ জন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরা হলেন-পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
শুনানি শেষে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলার ৩০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা। আমরা তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে অন্যান্য ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে আগামী রোববার ফর্মাল চার্জ দাখিল করবো। তিনি বলেন, রংপুরে আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় আরও ২টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি মিথ্যা মামলাও ছিল। যারা আন্দোলনকারী, আবু সাঈদের সহযোগী ছিল তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিল। পরবর্তীতে আবু সাঈদের পরিবার থেকে ৫ই আগস্টের পরে আরেকটি মামলা করা হয়। তিনি বলেন, এই মামলা দায়েরের পরে, আমাদের তদন্ত সংস্থা রংপুরে গিয়েছিল। সেখানে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে ও সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়াও ঘটনার দিন যে লাইভ সম্প্রচার হয়েছিল সেগুলো সংগ্রহ করে তারা এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। এই মামলায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ থাকলেও যদি নতুন করে কারও নাম সংযোজন কিংবা বিয়োজন করতে হয় আমরা করবো। আগামী রোববার প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যখন তদন্ত সংস্থা দাখিল করে সেগুলো আমরা সাংবাদিকদের জানাই। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে অনেক সময় আমরা গণমাধ্যমে জানাতে পারি না। তবে আবু সাঈদের হত্যার ঘটনা সবাই দেখেছেন। ১৬ই জুলাই আন্দোলনের সময় আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ জন গুলি করেছিল। সেদিন কারা গুলি করেছিল, কোথা থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল, গুলির আদেশদাতা কারা- সবাই এই মামলার আসামি হয়েছে। তবে মামলার স্বার্থে সবার নাম এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলে জানান এই প্রসিকিউটর।