প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বাজারজাত হবে

সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুবিধাভোগী দেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য অনলাইনে বাজারজাত করা হবে। এজন্য বিশেষ অ্যাপস্ ব্যবহার করা হবে- যার মাধ্যমে উৎপাদনকারী, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পণ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পারবে। বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত ‘প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (২য় ফেইজ) প্রকল্পের অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে ঢাকা জেলা ও মহানগরের ১০ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীÑ কামার, কুমার, নাপিত, বাঁশ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারী, জুতা মেরামত/প্রস্তুতকারী, কাঁসা/ পিতল প্রস্তুতকারী, লোকজ শিল্পী ও লোকজ যন্ত্র, নকশী কাঁথা শিল্পী, শীতল পাটি প্রস্ততকারী ও শতরঞ্জি পেশায় কতোজন জড়িত আছে সেই তথ্য উঠে এসেছে। কামার ৬৭৪ জন, কুমার ৯৭১ জন, নাপিত ২৯০৪ জন, বাঁশ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারী ১১০৪ জন, জুতা মেরামত/প্রস্তুতকারী ২৬৭৪ জন, কাঁসা/ পিতল প্রস্তুতকারী ২৪৯ জন, লোকজ শিল্পী ২৫৫ জন, লোকজ যন্ত্র ২৫৮ জন, নকশী কাঁথা শিল্পী ১৮২১ জন, শীতল পাটি প্রস্তুতকারী ৪০ জন ও শতরঞ্জি ২০৬ জন।

সেমিনারে বক্তারা জানান, ঢাকা জেলার অধীনে ১০টি অনগ্রসর পেশার প্রায় ১২ হাজার নারী ও পুরুষ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশপাশি তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য বিনাসুদে ঋণ পাচ্ছেন, আগামীতে এর পরিধি আরও বাড়বে। তাদের উৎপাদিত পণ্য সমাজসেবার আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে বিপণনের ব্যবস্থা রয়েছে। ভবিষ্যতে অনলাইনে বিক্রির পাশপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের  মাধ্যমেও তাদের পণ্য বিক্রয়ের  উদ্যোগ নেয়া হবে। 
ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মো. কাওছার রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে  সঞ্চালক ছিলেন ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা বেগম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রেজাউর রহমান (গবেষণা, মূল্যায়ন, প্রকাশনা ও জনসংযোগ)। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে সেমিনারের উদ্বোধন করেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মিজানুর রহমান। সেমিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের শহর সমাজসেবা  কর্মকর্র্তাগণ এবং  সমাজসেবা মন্ত্র¿ণালয়ে অনুদান ও ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।