বিশ্বজমিন
নিলামে কেনা সুটকেসের ভিতর দুই শিশুর লাশ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৪:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
স্টোরেজ থেকে নিলামে একটি সুটকেস কিনে বাসায় নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এক দম্পতি। তারা ওই সুটকেসটা খুলেই ভয়ে কাঁপতে থাকেন। কারণ, তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে দুটি ছোট শিশুর মৃতদেহ। ধারণা করা হয়, বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছে ওই শিশু দুটি। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ভয়ে বুক শুকিয়ে যায় ওই দম্পতির। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। পরে পুলিশ ডাকা হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ওই পরিবারের ওপর কোনো দোষ চাপায়নি। তাদেরকে এক্ষেত্রে কোনোভাবে সন্দেহও করা হচ্ছে না। কারণ, ১১ই আগস্ট নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অবস্থিত মানুরেওয়া এলাকায় বসবাসরত একটি পরিবার সেখানে এক নিলামে অংশ নেন।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর তোফিলাউ ফামানুইয়া ভাইলুয়া বৃহস্পতিবার বলেছেন, পুলিশ মনে করছে সুটকেসের ভিতর পাওয়া মৃতদেহ দুটি শিশুর। তাদের বয়স হতে পারে ৫ বছর ও ১০ বছর। ওই সুটকেসের ভিতর তাদের মৃতদেহ তিন থেকে চার বছর ধরে ছিল। যে পরিবারটি নিলামকারীদের কাছ থেকে এটি কিনেছে তারা এ ঘটনায় জড়িত নয়।
স্টোরেজ লকারের অনলাইন নিলামে অংশ নিয়েছিল ওই পরিবারটি। এটি একটি সাধারণ বিষয়। এমন নিলাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রিয়েলিটি টিভি শো হয়েছে। ‘স্টোরেজ ওয়ারস’ নামের ওই টিভি শো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার আগে ক্রেতাদেরকে ভিতরের জিনিসপত্র দেখতে দেয়া হয় না। অর্থাৎ অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে কিনতে হয়।
এমন এক নিলামে বিজয়ী হয় নিউজিল্যান্ডের ওই পরিবারটি। এরপরই তাদেরকে তাদের ইউনিট খুলে দেখার সুযোগ দেয়া হয়। তারা সুটকেসটি বাসায় নিয়ে যান। তারপরই তা খোলেন।
ইন্সপেক্টর ভাইলুয়া বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে। তবে এই দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ বা কারা এ কাজ করেছে তা বের করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ, মৃতদেহ দুটি সুটকেসের ভিতর অনেক দীর্ঘ সময় রাখা হয়েছে। এই দুই শিশুর আত্মীয়-স্বজন নিউজিল্যান্ডেই বসবাস করে বলে তিনি নিশ্চিত। এখন কাজ হলো ওই শিশু দুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা যে, তারা কে!
ইন্সপেক্টর ভাইলুয়া বলেন, আমরা এখনও ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনে। উত্তর অজানা, এমন অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ওই সুটকেসটির সঙ্গে বাসায় ব্যবহৃত জিনিসপত্রও পাওয়া গেছে। এসব নিয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ।