দেশ বিদেশ
পলাশে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
২২ জুন ২০২৫, রবিবারনরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল-বিএনপি’র সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলকর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া। নিহত ইসমাঈল উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে ও পলাশ ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং রাতেই গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে। তিনি এ হত্যার বিচার চেয়ে হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানায়। পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত রোববার (১৫ই জুন) সন্ধ্যার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসি’র মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদলকর্মী ঈসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে, আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে, জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।